এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করেছে নবান্ন (Nabanna)। মমতা সরকারের (Mamata Government) এই সিদ্ধান্ত ঘিরেও তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধী শিবির আর আক্রমণাত্মক ভাবে সুর চড়িয়েছেন। বিজেপির (BJP) দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হল। যদিও এটা আমাদের আন্দোলনের জয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অবগত ছাড়া এই কাজ করতে পারে না। সরকার জড়িত, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরও বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ছাড়া এ রাজ্যে সিংহের জন্ম হয় না। আমরা এমন একটা রাজ্যে বাস করছি। সেখানে তাঁর এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী, ঘনিষ্ঠ লোকের থেকে কোটি কোটি টাকা বেরোচ্ছে, সোনার গয়না, রূপোর মুদ্রা বেরোচ্ছে। এ যেন আলিবাবা চল্লিশ চোরের গুহার গল্প। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বিধায়ক-জেলা সভাপতি নামের লিস্ট পাঠিয়েছে। এঁদের প্রত্যেকে জেলে পুড়তে আমরা চোর ধরো, জেল ভরো কর্মসূচি নিয়েছি।'
এদিন দলীয় এক প্রতিবাদ সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, 'এই দুর্নীতির সঙ্গে যোগাযোগ আছে। উনি মিথ্যা কথা বলছেন, কিছু জানেন না।'
সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, 'এটা প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের তোলাবাজি, দুর্নীতি, লেনদেন, কাটমানি, চুরি, জোচ্চুরির সাম্রাজ্যের অংশ সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।' তিনি জানান, মানুষ আজ অসহায়, কলেজে ভর্তির জন্য টাকা, নিয়োগে যোগ্যতা, মেধা, নিয়ম-কানুন কিছু দেখা হয়নি। শিক্ষা দফতরের নিয়োগ দুর্নীতির জন্য সমানভাবে দায়ী ব্রাত্য বসু। এভাবেও সরব হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম।