প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে পর্ষদ সভাপতিকে অপসারিত করেছে হাইকোর্ট। আর আদালতের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'এই দুর্নীতির দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুক এই সরকার। পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া উচিৎ।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মানিক ভট্টাচার্যকে কবে কোমরে দড়ি পরানো হবে? চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন উনি।' এদিকে, প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সরালো হাইকোর্ট। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তীকে। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সব নথি জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সশরীরে মানিক ভট্টাচার্যকে আদালত হাজিরা দিতে হবে। এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জমা দেওয়া নথি দিল্লির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমনকি, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের একটি প্রশ্ন ভুল হওয়ায় দ্বিতীয় প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করল আদালত।
এদিকে, এদিনের শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যারা ২০১৪-র প্রার্থী, তাঁরা ২০১৭-তে চাকরি পেয়েছে। সেই চাকরিপ্রাপকদের জেলাভিত্তিক তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। এমনকি চাকরি হারিয়েছেন কয়েকজন। এই আবহে জেলার প্রাথিক স্কুল সংসদ তথ্য সংগ্রহ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে জমা দিচ্ছে।