বুধবার বেশ দাপটে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, অধিকারীরা নাকি বাতিল কাঁথি পুরসভা থেকে, দমবন্ধ হয়ে আসছে শুভেন্দুর। সেই কারণে তিনি তৃণমূলে ফিরতেও চাইছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও বিজেপি থেকে জানানো হয়েছে, এমন কোনও তথ্য নেই| তাও প্রশ্ন থেকে যায়, কাঁথির ২১ আসনে নিজেদের মধ্যে সমস্যা কাটিয়ে যখন তৃণমূল মনোনয়ন জমা করছে, তখন বিজেপি কী করছে? কাঁথি বা পূর্ব মেদিনীপুরে অখিল গিরি বনাম জানাবাবুর ঠান্ডা লড়াই ছিল বলে কথিত আছে। কিন্তু নিজের বড়বোনের আকস্মিক মৃত্যুর পর অখিলবাবু সব গোষ্ঠীকে ডেকে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন, দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে পৌরসভায় কাজ করতে হবে| তখন সবাই একবাক্যে তা মেনে নিলে মনোনয়ন জমা দেওয়া পরিষ্কার হয়ে যায়।
অন্যদিকে কথা ছিল, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হবেন গত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। কিন্তু শেষদিন অবধি জল্পনার পরেও সৌমেন্দু এলেন না| শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর তাঁর বাবা শিশির অধিকারী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চে উঠে সংবর্ধিত হয়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু, যিনি খাতায় কলমে এখনও তৃণমূল সাংসদ, গত বিধানসভা ভোটে নিশ্চুপ ছিলেন| দলের হয়ে কোনও কাজই করেননি তিনি| অবশ্য তিনি বিজেপির কোনও মঞ্চেও ওঠেননি। কিন্তু মোদীর ডাকা সরকারি বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন| এই উপস্থিত থাকার বিষয়ে দলকেও অন্ধকারে রেখেছিলেন বলেও খবর।
মোটের উপর তৃণমূলের ছোট-বড় কেউই আর অধিকারী পরিবারের কাউকে চাইছে না। বিজেপির পথ খোলা থাকলেও শিশিরবাবু এখন চুপ। একই অবস্থা দিব্যেন্দুর। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়া সৌমেন্দু কেন বিজেপি থেকে প্রার্থী হলেন না, এই প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁথির ক্ষমতার অলিন্দে ছিল অধিকারী পরিবার। এবার তাঁদের কেউই কাঁথি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডে থাকছেন না। যদিও তৃণমূলের যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি সিএন পোর্টালকে জানালেন, আগে ওদের ওপর আসা কেলেঙ্কারির দায় মেটাক, তারপর তো ভোট লড়বে। সুপ্রকাশ বলেন, 'জিততে পারবে না বলেই কেউই দাঁড়াচ্ছে না। এবার অধিকারীদের মৌরসীপাট্টা শেষ', জানালেন সুপ্রকাশ।