কলকাতা পুরসভায় অবিশ্বাস্য ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪৪ আসনের মধ্যে ১৩৪ টি আসনই দখল করেছে তারা। বাকি ১০ আসনে জয়ীদের ৩ জনই প্রাক্তন তৃণমূল। ফলে এঁরা অপেক্ষায় দলে ফেরার জন্য। কাজেই বিরোধী বলতে তিন দল মিলে মাত্র ৭।
বৃহস্পতিবার জানা গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তুত পরের বাকি পুর ও পৌর নির্বাচনের আয়োজন করতে। ঠিক হয়েছে, ২২ জানুয়ারি সবকটি পুরসভায় ভোট হবে। অর্থাৎ হাওড়া, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর ও বিধাননগর। এর মধ্যে তৃণমূলের কাছে মাথাব্যথা একমাত্র শিলিগুড়ি। এযাবৎ যতই সংগঠন তৃণমূল বাড়িয়ে ফেলুক না কেন, এখনও কোনও দিন শিলিগুড়িতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। শিলিগুড়িতে কখনও বাম, কখনও কংগ্রেসের জোটের বোর্ড গঠন হয়েছে। ফলে তৃণমূল চ্যালেঞ্জ নিয়েছে শিলিগুড়ি দখল করার। গৌতম দেবকে সামনে রেখে তারা লড়বে হয়তোবা। কিন্তু গত বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের তাবড় নেতারা সবাই প্রায় পরাজিত হয়েছিল।
পাশাপাশি রয়েছে শতাধিক পৌরসভার ভোট, যা কিনা ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। এখানেও কিছু জেলা চিন্তায় রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। জেলাভিত্তিক অবস্থানে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স- তরাই অঞ্চলে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ফল খুবই খারাপ ছিল। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ইত্যাদি জায়গায় ফল খারাপ থাকলেও তৃণমূলের কাছে আশার বাণী, বিগত দিনহাটার উপনির্বাচনের ফলাফল। এবার তৃণমূল এখান থেকে ১ লক্ষ ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিল। কাজেই একটি ভাত টিপে হাঁড়ির অবস্থান বোঝার মতো তারা বুঝেছে, যেহেতু তারা ক্ষমতায়, কাজেই পুরসভার ফল উল্টে যেতে পারে। অন্যদিকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও একই ভাবনা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। উপনির্বাচন বা মূল নির্বাচনের সাথে লাগোয়া পুর এবং পৌর নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই সরকারের পক্ষে যায়। সম্প্রতি কলকাতা নির্বাচনের ছবি যদি আসন্ন নির্বাচনগুলোতে দেখতেও পাওয়া যায়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তবে অন্দরের খবর, তৃণমূল এবার বিতর্কিত প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নতুন মুখ আনতে পারে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে নব্য আবহাওয়া আনতে বদ্ধপরিকর।