তিনি মুখ্যমন্ত্রী আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতিও বটে। তাঁর হাতে তৈরি এই দল। এর আগেও রাজ্য রাজনীতিতে বহু মহিলা নেত্রী দলের সর্বময় পদে ছিলেন। জয়ললিতা, মায়াবতী প্রমুখ কিন্তু এঁরা কেউই নতুন দল গঠন করেননি। দলে এখনও শেষ কথা মমতাই। অনেকেই ভাবে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় তৃণমূলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন চালাচ্ছেন কিন্তু আদতে মোটেই তা নয়।
অভিষেক কোনও বৃহত্তর কাজ মমতাকে জানিয়েই করে থাকেন। সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রের নানান ঘটনায় দল তথা দলনেত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত। কোনও সভায় তা প্রকাশও করেছেন তিনি। অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলায় জেলা থেকে ওয়ার্ড থেকে ব্লক স্তরে নিজের টিম পাঠিয়ে সার্ভে করেছেন। কোথায় ভালো কাজ হচ্ছে এবং কোথায় দুর্বলতা আছে, এখন তা তাঁর নখদর্পনে। কার্যত বড়সড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিষেক মনে করেন এক ব্যক্তি এক পদ থাকাটাই উচিত। সেভাবেই হয়তো খোলনলচে পরিবর্তন হতে পারে।
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে মন্ত্রিসভার পরিবর্তনও হতে পারে। শিক্ষা থেকে পূর্ত, নানা দফতরে হয়তো পরিবর্তন আসতে পারে। এটা বাস্তব সাংবাদিকদের অগ্রিম করা রাজনৈতিক খবর সর্বদা সঠিক নাও হতে পারে, কিন্তু তবুও সংবাদমাধ্যমের অভিজ্ঞতা এবং পরিস্থিতি নিয়ে খবর করে থাকে। তার উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে হয়তো আপাতত পদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
এখানেও যুক্তি থাকবে যে উচ্চ আদালতের সুপারিশ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে, এদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হোক। সেই মোতাবেক আপাতত বাদ পড়তে পারেন এই দুই মন্ত্রী। দফতর বদল হতে পারে মলয় ঘটকের, পাল্টাতে পারে শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীও। নতুন মন্ত্রী হিসাবে প্রথমেই যাঁর নাম ঘুরছে তিনি বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে শশী পাঁজা বড় দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন। নতুন মুখ হিসাবে হয়তো কেউ কেউ মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারেন। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত তাঁর কোর কমিটির সাথে আলোচনা করেছেন বা করবেন।