বৃহস্পতিবার নতুন তৃণমূল ভবনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতা-সহ বিধায়ক-সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শোনা গিয়েছে, সেখানে সমালোচিত হয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক মদন মিত্র। মমতা মহুয়ার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন কারণ দলের অনুমতি না নিয়েই নাকি তিনি তামিলনাড়ুর ডিএমকের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও মহুয়া গতকালের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বলেই খবর।
অন্যদিকে মদনকে বলেন যে, দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে মিডিয়ার সামনে বেফাঁস মন্তব্য করা চলবে না। দলনেত্রী ফেসবুক বা সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলেছেন দলকে।
মমতা মনে করিয়ে দিয়েছেন পুরাতন কর্মীদের অবদান। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন সভাপতি অজিত মাইতিকে সভায় দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জানতে পারেন তিনি খবর পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হন মমতা এবং পুরাতন নেতা অজিতের উপরেই ভরসা রাখার কথা বলেন।
এদিকে, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে অভিষেক ছাড়া সকলেই পুরাতন। এই কমিটির চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয় সুব্রত বক্সিকে। নেত্রীকে না জানিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, এমন বার্তাই এসেছে বৈঠকে।
মমতা নাকি বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, যাঁরা সংগ্রাম করে দলে এসেছেন তাঁরা দলটাকে জানেন আর যাঁরা সংগ্রাম করে আসেনি তাঁরা নিজেকে ভগবান বলে ভাবছেন। অর্থাৎ তিনি বুঝিয়েছেন যুব কংগ্রেস বা পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার সময়ে যাঁরা, তাঁর পাশে ছিলেন তারাই দলের সম্পদ। এরপর প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে যে ইঙ্গিতটি আসলে কাকে দেওয়া? এখানে কি প্রবীণ ও নবীন তৃণমূলের মধ্যে একটা সুক্ষ রেখা টেনে দিলেন দলনেত্রী। আজকের দিনে তৃণমূলকে নিয়ে নতুন ভাবনা ভাবছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নব্যদের হাতে দায়িত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন কেন্দ্রে। তবে তা কতটা গ্রহণযোগ্য? নতুনরা তো চিরকালই আসবে এবং তাদের জায়গা করে দিতে হবে। এটা সর্বক্ষত্রেই প্রযোজ্য। তবে কি পুরাতনে ভরসা রাখছেন দলনেত্রী?