Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট (Tripura Vote) আসন্ন কিন্তু ঠিক কবে ঘোষণা হয়নি। একবার শোন যাচ্ছিলো যে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে। কিন্তু সে রাজ্যেও মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মতোই। তবে কি এপ্রিল বা মে নাগাদ? নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সেই সূচি ঘোষণা করবেন।
আগের পর্বে জানিয়েছিলাম সিপিএম বা তৃণমূলের প্রাথমিক অবস্থান। আজ জানাবো বিজেপি এবং কংগ্রেস কে কোথায় দাঁড়িয়ে। কয়েক মাস আগে অবধি কংগ্রেসের অবস্থান অত্যন্ত করুণ ছিল উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যে। একটা সময়ে ত্রিপুরায় দুটি দলই ছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু ২০১৮ র নির্বাচনে কংগ্রেসের সব ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির বাক্সে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। পরে কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ফের ভোট দাঁড়িয়ে জিতেও আসেন। কার্যত সুদীপবাবু মানেই কংগ্রেসের সংগঠন প্রমাণিত। কিন্তু একা সুদীপবাবু কি লড়াই দিতে পারবেন বিজেপির সঙ্গে? ভোটের পূর্বাভাস কিন্তু তা বলছে না।
অন্যদিকে বর্তমানে সরকারে থাকা বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি এবারও কি বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে? জানা যাচ্ছে জনজাতি গোষ্ঠীর এই দলটির ক্ষমতা ত্রিপুরার বিশেষ কিছু অঞ্চলে যেখানে ত্রিপুরীদের বসবাস। আবার ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোতকিশোর ,এই রাজ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। একসময় ত্রিপুরার মহারাজদের সহযোগিতায় কংগ্রেস বারবার ক্ষমতা পেয়েছিল। এখন সেই বংশের অন্যতম প্রদ্যোৎকিশোর নতুন দল গড়েছেন জনজাতিদের নিয়ে 'ত্রিপুরা মোথা'। শোনা যাচ্ছে এরাও এবারের ভোট অংশ নেবে।
তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে অনেক দল আলাদা আলাদা করে দাঁড়াচ্ছে? বামেরা, কংগ্রেস, তৃণমূল ,ত্রিপুরা মোথা ইত্যাদি। এটা বাস্তব যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কাজে অখুশি ছিল ত্রিপুরার মানুষ। বিপ্লব মূলত দিল্লি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দ্রুত বিপ্লবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে নিয়ে আসা হয় প্রাক্তন কংগ্রেসী মানিক সাহাকে।
মানিকবাবুর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে কাজেই ফের তিনিই দলের মুখ। পঞ্চমুখী লড়াইতে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। (চলবে)