Share this link via
Or copy link
গত শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে | প্রথমে ঠিক ছিল, বিকেল ৪ টের সময় তালিকা প্রকাশিত হবে। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূলের দুই মুখপাত্র লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে পাশে রেখে তালিকা প্রকাশ করেন |
প্রথমে জানা গিয়েছিল, যাঁরা সাংসদ, বিধায়ক অথবা মন্ত্রী, তাঁরা কেউই প্রার্থী হতে পারবেন না | শোনা যায়, সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল | এক ব্যক্তি এক পদ পরিকল্পনাতে চলবে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই ঠিক ছিল | কিন্তু দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সম্পূর্ণ বিষয়টি বদলে যায় | সাংসদ মালা রায়, যিনি কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন, তিনি আবার টিকিট পেলেন | এছাড়া প্রাক্তন মেয়র ববি হাকিম সহ অতীন ঘোষ, দেবাশিষ কুমার প্রমুখ ৬ জন টিকিট পান | শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই নাকি এই ব্যবস্থা | অবশ্য ছাঁটাইয়ের তালিকায় পড়েন ৩৯ জন প্রাক্তনী, যাঁরা এর আগে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে জিতে এসেছিলেন |
বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ | তার আগেই প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে বাতিল করা হয় | তাঁর স্থলে প্রার্থী বদল করে এক বার্তা দেওয়া হল | কিন্তু তনিমা দাদার ইচ্ছা পূরণ করতে নির্দল প্রার্থী হলেন। অনেক কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা বা বিজেপিতে থাকা অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে পড়েছেন | যথা সোনালী গুহর স্বামী পার্থ মিত্র কংগ্রেসের হয়ে নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন | অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন রতন মালাকার, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য ছিলেন। তাঁকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে |
রতন কিন্তু আজ নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন | আবার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে এক সময় প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে বাতিল করে প্রার্থী করা হয়েছে অসীম বসুকে | সচিদানন্দ নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন | এইরকম দলের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে | যদি না করে, তবে তাঁদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে জানা গিয়েছে |