কংগ্রেস দলটির অবস্থা সত্যজিৎ রায়ের ছবি 'জলসাঘর'-এর মতো। জমিদারি গিয়েছে, অথচ ঠাটবাট বজায় রাখার প্রবল প্রয়াস। আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া একটি নজরকাড়া রাজ্য। প্রায় ১০ বছর নানান ইকুয়েশনে বিজেপি সেখানে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। রাখতে অসুবিধাও ছিল না। কারণ, এখানে কংগ্রেসের বন্ধু পার্টিরা তাদের পথ বদলেছে, কিন্তু কংগ্রেস তার জেদে অটল। বিগত বিধানসভা ভোটে বেশি আসন পেলেও দল ভাঙিয়ে, জোট করে ফের ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এবার কিন্তু কংগ্রেসের কাছে সুযোগ ছিল খুবই। মহারাষ্ট্রের লাগোয়া গোয়াতে কিন্তু মহারাষ্ট্র সংস্কৃতি বেশ কিছুটা গ্রহণযোগ্য। কোঙ্কনি ভাষা এবং মারাঠি ভাষার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। একটা সময় পর্তুগিজরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার পরেও গোয়াতে বিপুল সংখ্যক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ছিল। কিন্তু ধীরে তা কমেছে। এখন জানা যায়, সেখানে ৪০ শতাংশ ক্রিশ্চান। কংগ্রেস বরাবর খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিনিধিদেরই মুখ্যমন্ত্রী করেছে ওই রাজ্যে। এবারে কিন্তু মাহারাষ্ট্রের অন্য দুই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা ও এনসিপি জোট বেঁধে লড়তে চাইছিল। কিন্তু সেখানেই সংকট। গোয়া ছোট্ট রাজ্য। নদিয়ার মতো জেলার থেকেও ছোট। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়াতে সরকার গড়তে আসন দরকার ২১ টি মাত্র। কংগ্রেস এখানে সর্বত্রই প্রার্থী দাঁড় করাতে মরিয়া। অবশ্য কয়েকটি আসন গোয়ার একটি দলকে দেবে বলেই খবর। এই ঘটনায় চটেছে শিবসেনা ও এনসিপি। তারা শেষ খবর অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে আসন ভাগ করে আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শারদ পাওয়ারদের অনুরোধ ছিল, তৃণমূলকে সাথে নিয়ে একটি মহাজোট গড়ার। কিন্তু কংগ্রেস ৫ টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। কাজেই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত। কংগ্রেস, এনসিপি, এসএস, তৃণমূল, স্থানীয় একটি দল, আপ পার্টি। এই পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে আখেরে এরা সুবিধা করে দিল বিজেপিকেই। কঠিন লড়াই ছিল এবারে বিজেপির। কিন্তু কাজটা সোজা করে দিয়েছে তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস।
কংগ্রেস দলটির অবস্থা সত্যজিৎ রায়ের ছবি 'জলসাঘর'-এর মতো। জমিদারি গিয়েছে, অথচ ঠাটবাট বজায় রাখার প্রবল প্রয়াস। আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোয়া একটি নজরকাড়া রাজ্য। প্রায় ১০ বছর নানান ইকুয়েশনে বিজেপি সেখানে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। রাখতে অসুবিধাও ছিল না। কারণ, এখানে কংগ্রেসের বন্ধু পার্টিরা তাদের পথ বদলেছে, কিন্তু কংগ্রেস তার জেদে অটল। বিগত বিধানসভা ভোটে বেশি আসন পেলেও দল ভাঙিয়ে, জোট করে ফের ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি।
এবার কিন্তু কংগ্রেসের কাছে সুযোগ ছিল খুবই। মহারাষ্ট্রের লাগোয়া গোয়াতে কিন্তু মহারাষ্ট্র সংস্কৃতি বেশ কিছুটা গ্রহণযোগ্য। কোঙ্কনি ভাষা এবং মারাঠি ভাষার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। একটা সময় পর্তুগিজরা এদেশ থেকে চলে যাওয়ার পরেও গোয়াতে বিপুল সংখ্যক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ছিল। কিন্তু ধীরে তা কমেছে। এখন জানা যায়, সেখানে ৪০ শতাংশ ক্রিশ্চান। কংগ্রেস বরাবর খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিনিধিদেরই মুখ্যমন্ত্রী করেছে ওই রাজ্যে। এবারে কিন্তু মাহারাষ্ট্রের অন্য দুই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা ও এনসিপি জোট বেঁধে লড়তে চাইছিল। কিন্তু সেখানেই সংকট।
গোয়া ছোট্ট রাজ্য। নদিয়ার মতো জেলার থেকেও ছোট। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়াতে সরকার গড়তে আসন দরকার ২১ টি মাত্র। কংগ্রেস এখানে সর্বত্রই প্রার্থী দাঁড় করাতে মরিয়া। অবশ্য কয়েকটি আসন গোয়ার একটি দলকে দেবে বলেই খবর। এই ঘটনায় চটেছে শিবসেনা ও এনসিপি। তারা শেষ খবর অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে আসন ভাগ করে আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শারদ পাওয়ারদের অনুরোধ ছিল, তৃণমূলকে সাথে নিয়ে একটি মহাজোট গড়ার। কিন্তু কংগ্রেস ৫ টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। কাজেই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত। কংগ্রেস, এনসিপি, এসএস, তৃণমূল, স্থানীয় একটি দল, আপ পার্টি। এই পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে আখেরে এরা সুবিধা করে দিল বিজেপিকেই। কঠিন লড়াই ছিল এবারে বিজেপির। কিন্তু কাজটা সোজা করে দিয়েছে তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস।