পিছিয়েই গেল ৪ পুরসভার ভোট। শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল, ওই ভোট হবে ২২ ফেব্রুযারি। আর কোনও পরিবর্তন অবশ্য হচ্ছে না। প্রচারের ক্ষেত্রে সব নিয়ম বলবৎ থাকছে।
করোনা সংক্রমণ প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে গত মাসের শেষ থেকে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। যদিও করোনা তার নিজের শক্তি অনেকটাই হারিয়েছে, তবুও একটি জটিল রোগ তো বটেই। মৃত্যুসংখ্যা কমলেও কিছু মানুষের মৃত্যু তো হচ্ছে। কাজেই এই অবস্থায় পুরভোট সম্ভব কিনা, প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে।
কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে| কেউ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। মহামান্য আদালত জানতে চেয়েছিলেন রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে, এই দায়িত্ব কার? সঠিক উত্তর না পাওয়াতে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মহামান্য বিচারপতিদ্বয়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সওয়াল-জবারের শেষে জানিয়েছিলেন, এই ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা।
এরপর দ্রুত পট পাল্টাতে শুরু করে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আসে। সিএন পোর্টালে সকালেই লেখা হয়েছিল, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার পচিমবঙ্গের ৪ পুরসভার ভোটের প্রস্তাবনা আসছে। অর্থাৎ কিনা প্রায় ২১ দিন পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এর আগে প্রায় সব বিরোধী দল যথা বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস থেকে ভোট পিছনোর প্রস্তাবনা এসেছিল। তৃণমূলের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আজকের এই কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট বাতিল করে করোনা পরিস্থিতির দিকে ধ্যান দেওয়া উচিত।
শেষ পর্যন্ত ভোট পিছিয়েই গেল এবং তার দিনক্ষণ হল ১২ ফেব্রুয়ারিই। নৈতিক জয় একপ্রকার অভিষেকেরই বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি প্রশ্নই থেকে যায়, ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলা কি করোনামুক্ত হবে?