Share this link via
Or copy link
খানিকটা বিরোধী অভিযোগেই সিলমোহর বসালেন বিজেপি (BJP) সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর গলায় এবার সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে প্রভাবশালীদের সেটিং তত্ত্ব। ঠিক যেমনটা এযাবৎকাল করে এসেছে বাংলার অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সাম্প্রতিককালে রাজ্যে চলা একাধিক দুর্নীতি মামলার সিবিআই তদন্তে কোনও প্রভাব দেখতে পাচ্ছে না মানুষ। কেউ ধরা পড়ছে না, কোনও নথি বাজেয়াপ্ত নেই। এর পিছনে থাকতে পারে সেটিং। কিনে নেওয়া হতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের। কারণ সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকে, পেট সকলেরই আছে। কেউ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়, কেউ আবার কোটি টাকায়। রবিবার আইসিসিআর-এ (ICCR) এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।
এখানেই থামেননি তিনি। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির আরও মন্তব্য, 'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কিছু একটা সেটিং হয়েছে, সরকার বুঝতে পেরেই অর্থ মন্ত্রক ইডিকে পাঠিয়েছে। আর অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসেই রাজ্যে ইডি এসেছে। আর যাঁরা সেটিং করছিলেন, তাঁরা এখন প্রশ্ন করছেন, ইডি কেন? ইডিকে সরানোর জন্য কোর্টেও গিয়েছেন তাঁরা। আসলে ওই কুকুরকে পোষ মানানো যাচ্ছে না। কিছু কুকুর আছে কামড়ে দেবে। ওষুধের পরিমাণ কম হয়ে যাচ্ছিল, এবার ডোজ বাড়াতে হবে।'
তিনি জানান, এতো মামলা, এতো দুর্নীতি ৫০-৬০ বছর ধরে চলছে। যে দুর্নীতি দমনের কাজ স্থানীয় পুলিস, প্রশাসন, গোয়েন্দাদের করা উচিৎ। সেই কাজ ওরা করছে না, উলটে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাচ্ছে। ফলে সিবিআই-ইডিকে একাহাতে সেই কাজ করতে হচ্ছে। এতে সমস্যা বাড়ছে। তদন্তে শ্লথ গতি, বিচারব্যবস্থায় প্রভাব পড়ছে। ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ।
যদিও বিজেপির সহ-সভাপতির এই মন্তব্যকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'বিজেপি রাজনৈতিকভাবে এই সংস্থাগুলো ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলোকে খারাপ করছে। আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে সিবিআইয়ের সম্মানহানি হয়েছে। উনি এই কথাগুলো হতাশা থেকে কাকে বলছেন? প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন, অমিত শাহকে বলছেন? আমার মনে হয় দিলীপ ঘোষ ঘুরিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে সিবিআইয়ের সেটিংয়ের প্রসঙ্গ সামনে এনে দিলেন।'