২৮ মার্চ, ২০২৪

Vote: গুজরাতের বিশাল জয় কি ঢেকে দেবে হিমাচল-দিল্লিকে? কী বলছে বিশ্লেষণ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-12-08 18:33:18   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: রাজনীতির রণাঙ্গণে কোনও সুনির্দিষ্ট রাজ্যের ভোটের ফল কি ভারতের ভোটারদের মুড ধরতে পারে? উত্তরটা বোধহয় না। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের (Bengal Vote) ফল দিয়ে যেমন গুজরাতকে (Gujrat Vote) চেনা যাবে না, তেমন হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh Vote) ভোটের ফল দিয়ে লোকসভার ভবিষ্যৎকে তুলে ধরা ঠিক হবে না। বিশেষজ্ঞদের নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু এবিষয়ে সব রাজনীতির একটি বিষয়ে একমত হতেই হবে। যে তিন রাজ্যের ফল অনেকটাই চিত্র পরিষ্কার করতে পারে। গুজরাত এমন একটি রাজ্য যেখানে মানুষ স্বাধীনতা উত্তর যুগ থেকে শান্তিপ্রিয় এবং অরাজনৈতিক। তারা সুনির্দিষ্ট এক ধারায় জীবন চালাতে ভালোবাসে।

এই প্রতিবেদক ১৯৮১ থেকে ৮২ অবধি গুজরাতে থেকে একটি বিষয় বুঝেছে, গুজরাতিরা শান্তিপ্রিয় এবং ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে চলতে ভালোবাসে। যদিও এই রাজ্য থেকে বল্লভভাই প্যাটেল, মোরারজি দেশাই কিংবা লালকৃষ্ণ আদবানির মতো রাজনীতিবিদ পেয়েছে। অথবা মহাত্মা গান্ধী থেকে আজকের প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছেন ভারতের রাজনীতির শীর্ষে। কিন্তু ওই অবধি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত গুজরাতবাসীর আছে ঠিকই। কিন্তু তাঁদের রাজনীতি নিয়ে ভাবার সময় এঁরা ব্যয় করতে নারাজ। স্বাধীনতা উত্তরে ১৯৯৫ অবধি একচেটিয়া কংগ্রেসের রাজ ছিল। কিন্তু ৯৬ থেকে পট পরিবর্তন হয়ে বিজেপির হাতে গুজরাত। ভোটারদের অভাব অভিযোগ নিয়ে পথে নাম বা আন্দোলন করা এঁরা পছন্দ করে না।

দ্বিতীয় বিষয় ৮ বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁদের রাজ্যের। ফলে একটা সেন্টিমেন্ট তাঁদের আছেই আছে। 'গোধরা কাণ্ড' ছাড়া দেশের রাজনীতি বা প্রশাসনিক বিষয় গুজরাতিদের আগ্রহ খুব কম। যতটুকু আগ্রহ অর্থনীতি নিয়েই। আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও বিকল্প কিছু নেই ভেবেই ফের বিজেপির উপর ভরসা করেছে। আজকে এদের ভোটের ফল বা শতাংশ কিন্তু তাই প্রমাণ করে। আমরা ২০০৬-এ, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলন তুঙ্গে দেখেছিলাম তখন বামেরা শেষবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলো ৫২% ভোট পেয়ে।

গুজরাতে তাই দেখা গেলো এবং শেষবার যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল সেবারও তারা যথেষ্ট ভোট শতাংশে এগিয়ে ছিল। কাজেই এবারের ফল গুজরাতের ক্ষেত্রে নতুন ঘটনা কিছু নয়। তবু জয় শেষ পর্যন্ত জয়ই হয় এবং কংগ্রেসের পরাজয় বা আসন কমে যাওয়াটাও তাদের পরাজয়ই।

কিন্তু এই ভাবনাতে কেন্দ্রীয় বিজেপির উৎসাহের কারণ নেই। প্রথমত দিল্লি মানে মিনি ভারতবর্ষ। এখানে দেশের সব রাজ্যের মানুষ থাকে এবং ভোট দেয় মূলত রাজ্যের মানুষ। তবে কর্পোরেশনে পরাজয় কিন্তু বিজেপির কাছে ভাবনার অন্তত আগামী লোকসভার নিরিখে। এর সঙ্গে হিমাচলে কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এল। বেশ ভালো ফল করেছে তারা।  নাড্ডার রাজ্যে এই পরাজয় কিন্তু বিজেপির কাছে ভাবনার।


Follow us on :