অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশের একাধিক শহরে আগুন জ্বলছে। তেলেঙ্গানায় পুলিসের পাল্টা গুলিতে মৃত এক বিক্ষোভকারী। দেশব্যাপী গ্রেফতার শতাধিক বিক্ষোভকারী। এই আবহে কেন্দ্রের গৃহীত এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন রাহুল গান্ধি।
এদিন সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, 'কেন্দ্র যেমন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল, তেমনভাবে এটাও প্রত্যাহার হবে। ৮ বছর ধরে লাগাতার বিজেপি সরকার জয় জওয়ান, জয় কিষাণ আদর্শের অপমান করে চলেছে। আমি আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক তেমনই ওকে দেশের তরুণ-যুবদের কথা শুনতে হবে। আর অগ্নিবীর প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে।”
এদিকে, অগ্নিপথ ইস্যুতে যখন দেশ অগ্নিগর্ভ, তখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। কিন্তু তাঁর পক্ষে চুপ করে থাকা আর সম্ভব হল না। কারণ, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশের যুব সম্প্রদায়ের এই ক্ষোভ-বিক্ষোভকে হাতিয়ার করলে রাজনীতির ময়দানে যে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ মিলবে, তা তিনি বিলক্ষণ বোঝেন। সেই কারণে হাসপাতাল থেকেই এই ইস্যুতে দেশের আন্দোলনরত যুব সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়ে তিনি বললেন, তিনি তাঁদের পাশেই আছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, তাঁদের স্বার্থ রক্ষার্থে এই প্রকল্প বাতিল হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস লড়াইয়ের ময়দানেই থাকবে।
তবে কংগ্রেস যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেরই পক্ষে, সেকথাই তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন। সোনিয়ার বক্তব্য, কেন্দ্রের এই প্রকল্প পুরোপুরি দিশাহীন। সাধারণ যুবকদের স্বার্থ এবং দাবির কথা না ভেবেই এ ধরনের প্রকল্প আনা হয়েছে। সোনিয়ার বক্তব্য থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, যুবসমাজের আবেগকেই তিনি হাতিয়ার করতে চেয়েছেন।