জেলা সফরে বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে কর্মিসভা (Workers Meet at Jhargram) করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এদিনের সভা থেকে তৃণমূলের (TMC) জনপ্রতিনিধিদের কড়া বার্তা পাঠান তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার বার্তা, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগে সব কাজ শেষ করুন। মানুষের কাজ দ্রুত করতে হবে। সরকারি প্রকল্প সমব্যথীতে টাকা কম পেলে এফআইআর করুন। আগে ঝাড়গ্রামের মানুষ পিঁপড়ে খেয়ে থাকতো। আমলাশোলে না খেয়ে মানুষের মৃত্যু মিছিল দেখেছি। এখন রাস্তাঘাট, সেতু, হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরও সবুজসাথীর সাইকেল। এলাকায় জলের সমস্যা মেটাতে আরও পুকুর কাটা হবে। এদিন এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতার খোঁচা, 'এখানে জিততে পারেনি, তাই তুঘলকি-কাণ্ড ঘটাচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রেখেছে এদিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে বাংলার বদনাম করছে। ২০২৪-এ জিতবে না জেনে বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে।' মাওবাদী মাওবাদী করে ভয় দেখালে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। ঝাড়গ্রামে কোনও মাওবাদী নেই। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। হিংসাকে কেউ প্রশয় দেবেন না। ধমকানি নয়, কাজের চমকানি দেখান। এই আবেদন করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের কংগ্রেস। মা-মাটি-মানুষের পার্টি। বিজেপি দেশে তুঘলকি কাণ্ড চালাচ্ছে। কারও বাঁচার, স্বাধীনতার অধিকার নেই। সিপিএম-র ৩৪ বছরে আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি পাওয়া যেত। ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলিনি। আসতে আসতে সব সামনে আনব। কাজ করতে গেলে কেউ ভুল করলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিৎ। এমন কিছু করবেন না যাতে বদনাম হয়। কিন্তু গায়ের জোরে তৃণমূলকে জব্দ করা যাবে না। উলটে তৃণমূল কাজ দেখিয়ে স্তব্ধ করে দেবে। এতবড় রাজ্যে একটা-দুটি ঘটনা, দুর্ঘটনা ঘটলে আগে দেখুন পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা? না শুধু হিংসা, হিংসা করছে। কোথায় হিংসা? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তাঁর মন্তব্য, 'আমি বড় নই, আমি কে? আমি মা-মাটি-মানুষের ছাতার তলায় আছি। আমি নয়, আমরা। সবাইকে একসঙ্গে চালাতে হবে। শীত, গ্রীষ্ম,বর্ষা তৃণমূল ভরসা। দিদির উপর ভরসা রাখবেন। ভয় পাবেন না, মাথার উপর দিদি আছে।'
আমি কেউ নই, আমি দায়িত্ব পেলাম কেউকেটা হয়ে গেলাম। এটা চলবে না। সবাইকে নিয়ে চলতে না পারলে তাঁদের পদ ছাড়তে হবে। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি;এরা তিন জন ভাই ভাই। মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোনও ভালো কাজ করে না। এভাবেই বিরোধী দলগুলোকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।