২১ জুলাই শহীদ দিবসে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা দেওয়ার দিনেই হুগলিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ালেন দলীয় কর্মী- সমর্থকরা। ধর্মতলা থেকে ফেরার পরেই তৃণমুলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা আরামবাগের বোলুন্ডি এলাকায়। সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠীর লোকজন অপর গোষ্ঠীর পার্টি অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালান। চলে ব্যাপক বোমাবাজি ও ভাঙচুর। অভিযোগ, পার্টি অফিসে থাকা লোকজনদের বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ব্যাপক পুলিস ও র্যাফ নামানো হয়েছে। হাজির ছিলেন আরামবাগ থানার আইসি বরুণ কুমার ঘোষ ও আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল।
দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, আরামবাগ যুব জেলা সাংগঠনিক সভাপতি পলাশ রায়ের গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরার ভাই তথা এলাকার উপ প্রধান অলোক সাঁতরা গোষ্ঠীর লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত তৃণমূল কর্মীদের আত্মীয়-স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। উপপ্রধান অলোক সাঁতরার অভিযোগ, "পলাশ রায়ের গোষ্ঠীর লোকজন এই পার্টি অফিসে এসে হামলা চালায়, মারধর করে। তাহলে আপনারাই বলুন এরা কী করে তৃণমূল বলে নিজেদের। ওদের শাস্তি চাই।"
অপর দিকে পলাশ রায় ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি। তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর অনুগামী এক আহত তৃণমূল কর্মী সরাসরি অলোক সাঁতরার দিকেই আঙুল তুলেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আরামবাগ থানার পুলিস। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও চিত্রটা অনেকটা এক। বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত খেড়িয়া এলাকায় এক যুব তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত যুব তৃণমূল কর্মীর নাম রাজ্জাক পিয়াদা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হলে রাজ্জাককে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বাসন্তী থানার পুলিস।
রাজ্জাকের অভিযোগ, যুব তৃণমূল করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, রাজ্জাক একজন সমাজ বিরোধী। মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় গালিগালাজ করছিলেন। গ্রামের মহিলারা প্রতিবাদ জানানোয় সামান্য অশান্তি হয়েছে।