কাশীপুরে (Cossipore Youth Death) বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। শুক্রবার সকাল থেকেই দেহ উদ্ধারে আসা পুলিসকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। বেলা বাড়তেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অতীন ঘোষ-সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সকাল থেকেই এলাকায় উপস্থিত রাজ্য বিজেপির নেতা রীতেশ তিওয়ারি, কল্যাণ চৌবে-সহ সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এই পরিবেশ দেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। যদিও তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষের ট্যুইট, 'তান্ত্রিকদের নরবলির মতো। আত্মহত্যা, নাকি আসলে নিজেদেরই বিক্ষুব্ধ শিবিরের কাউকে শেষ করে ইস্যু তৈরির চেষ্টা? তাঁর সফরের মধ্যে হলে নাটক করার সুযোগও থাকছে। ওদেরই সুপরিকল্পিত চিত্রনাট্য নয় তো? জনবিচ্ছিন্ন সরীসৃপরা প্রচার আর কুৎসার জন্য আর কত নামবে? তদন্ত চলুক।'
স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ-সহ স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, বিজেপির তরফে যারা জমায়েত করেছে সবাই বহিরাগত। মৃত্যু নিয়ে ওরা রাজনীতি করছে। তাঁর দাবি, 'বিজেপির যারা জমায়েত করেছে, সব বাইরের ছেলে। আগে কীভাবে মারা গিয়েছে, তার তদন্ত হোক। গত পুরনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন মৃত যুবক।'
তৃণমূল মুখপাত্র যখন এই ট্যুইট করেছে, তখন কাশীপুরে দিলীপ ঘোষকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূলের। পাল্টা অতীন ঘোষকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান রাজ্যের প্রধান শাসক দলের। যার ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বিধায়ক অতীন ঘোষ নিজে স্লোগান তুলেছেন বিজেপি বহিরাগতরা দূর হটো।
এদিকে, তাঁকে ঘিরে ওঠা গো-ব্যাক স্লোগান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যারা খুন করছে, অত্যাচার করছে, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে আমরা এলে তাঁদের সমস্যা হয়। কেউ মারা গেলে লোকে সান্ত্বনা দিতে আসেন, আজকে গুণ্ডা নিয়ে এসে মারধরের পরিবেশ তৈরি করছে। এখানে লাঠি নিয়ে এসে, লোকজন নিয়ে এসে উৎপাত ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে কে আছে।'
স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষের আনা বহিরাগত তত্ত্ব প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, 'উনি কাউন্সিলর, ওর কাজ শান্ত করানো, পরিবারের সঙ্গে দেখা করা। উনি উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।'
এদিন সকালেই মৃতদেহ উদ্ধারে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ডিসি নর্থ জয়িতা বসু এবং ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। তাঁদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাঁধে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিজেপি কর্মীদের।
যদিও পরে জোর করে ঘটনাস্থল থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বের করে দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিসি লাঠিচার্জে বিজেপি কর্মী এবং স্থানীয়দের আহত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিস দেহ উদ্ধার করলেও মৃতের ময়না তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা বিজেপির।