গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তৃণমূল যুবনেতা মহরম শেখের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুব অঞ্চল সভাপতি ছিলেন তিনি। শনিবার রাত আনুমানিক ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ফেরার সময় বাড়ির সামনেই ৪ থেকে ৫ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তাঁর বুক, হাত ও কানে গুলি লাগে। তড়িঘড়ি তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতেই। সেখানেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয় ক্যানিংয়ের যুবনেতার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৫ মাস আগে সাতমুখি বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এই যুবনেতা। তাঁর পায়ে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। শনিবারও একই ঘটনা। একটি অটোতে করে এসে দুষ্কৃতীরা মহরম শেখকে গুলি করে চম্পট দেয়। তবে এবার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ইতিমধ্যেই পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে ক্যানিং এলাকায়।
মৃত যুবনেতার ভাই মোহম্মদ শেখ জানান, যুব করার অপরাধে খুন হয়েছেন তাঁদের দাদা। এই নিয়ে ২ বার হামলা চলল। তাঁর চোখের সামনেই গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ মাদার তৃণমূলের ৪ থেকে ৫ জনের বিরূদ্ধে। তিনি চিৎকার করায় দুষ্কৃতীরা পালায়। এখন পরিবারের একটাই দাবি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।
ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানান, শনিবার রাত থেকে মহরম শেখের শারীরিক অবস্থা ভীষণ সঙ্কটজনক ছিল। ডানদিকে বুকের গুলি লাগা অংশ থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পাশাপাশি তিনি জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিলেন। যার জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করাই যায়নি। সবদিক থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েও হার মানতে হয় চিকিৎসকদের।
তিনি জানান, এর আগেও মহরমের উপর হামলা চলেছিল। তখন প্রশাসনকে জানানো হয়। তদন্ততেও নেমেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার আগে আবার এই ঘটনা।
যুবনেতার বাড়িতে সিসিটিভি লাগানো থাকায় ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করছে পুলিস। আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ক্যানিং থানার পুলিস। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে এলাকায়। পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।