পুরুলিয়ায় কর্মিসভায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তাঁর দাবি, ২০২৪-এ বিজেপির নো এন্ট্রি। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। হয় ১০০ দিনের কাজের টাকা দিন, নয়তো বিদায় নিন। মোদী সরকার ভেজাল হচ্ছে। সবার জন্য সিবিআই-ইডি আছে, তাই সবার আগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো ধরুক। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি বলেছে, রাজ্যের জ্বলন্ত ইস্যুগুলো থেকে নজর ঘোরাতে এসব বলা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এতগুলো ছেলেমেয়ে রাস্তায় বসে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে, যাঁদের পুলিস তুলে দিতে চাইছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? এসব ইস্যুগুলো থেকে নজর ঘোরাতেই এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এ তৃণমূল বলেছিল, বিজেপি ফিনিস। ফলাফল সকলের জানা। কিন্তু ২০১৯-এ মানুষ স্বচ্ছ প্রশাসন, স্থায়ীত্বের পক্ষে। তার পুনরাবৃত্তি হবে ২০২৪-এ।'
এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ''তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ঘর থেকে বেরোন। হেরে গিয়েছেন তাতে কী, পুরসভার ভোটে তো জিতেছেন।''সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই তৃণমূলকর্মীদের জোরকদমে প্রয়াস চালানোর জন্য নির্দেশ দিলেন। সেই সঙ্গে পুরুলিয়ার মঞ্চ থেকে তাঁর তোপ,''কখনও লালু প্রসাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠানো হচ্ছে, কখনও হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যাচ্ছে সিবিআই। কিন্তু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনও কথা বলছে না। বিজেপি নেতাদের গেফতার করা উচিত। সবকটাকে জেলে পুরুক সিবিআই।'' কয়লা পাচার, গরু পাচারের অন্য দলের নেতাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো।