তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক জনপ্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে এই মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
এদিন রাজ্যের শাসক দলকে খানিকটা খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, 'আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে গোটা দেশে আনন্দ। এখানে দুঃখ। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, শূদ্রের উত্থান হলে দেশের উত্থান হয়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগে জানলে সমর্থন করতাম। মজার ব্যাপার হল, উনি আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। একদা তৃণমূলের সহ-সভাপতি ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা, রাষ্ট্রপতি ভোটে তাঁর মনোনয়ন দাখিলের সময় নেত্রী নিজেই যাননি। আর দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়নে ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এর থেকে বোঝা যায় কে রাজনীতি করছে। কে সত্যিকারের লড়াই করছে।'
এ রাজ্যে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না যশবন্ত সিনহাকে এমন উল্লেখ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যশবন্ত সিনহা নিজে নানা রাজ্যে যাচ্ছেন। অথচ এ রাজ্যে আসেননি। ওঁকে এভাবে অপদস্থ করার কোনও মানে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আগে জানলে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতেন, দিদিকে কষ্ট পেতে হবে না ওনার পার্টির অনেকেই দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন।' দিলীপের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'বিজেপির আদিবাসী প্রেম গোটা দেশ দেখছে।' রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, তৃণমূলকে নিয়ে দিলীপ দার না ভাবলেও চলবে। আমাদের দল শৃঙ্খলাপরায়ণ, কোনও ক্রশ ভোটিং হবে না।