বাঙালি হিসেবে মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি উদ্ধারের ঘটনায় এই প্রতিক্রিয়া রাজ্য বিজেপির। দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'সরকারি লোগো লাগানো খাম থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। যে কোনওদিন শিক্ষকতা করেনি, সে ঠিক করবে কে স্কুলে চাকরি পাবে? এত টাকার উৎস কী, খুঁজে বের করা দরকার। এই উদ্ধার হওয়া টাকা এবং গ্রেফতারি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এই সরকারকে উৎখাত করতে বিজেপি পথে নামবে।'
সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, 'আয়ের উৎসের সঙ্গে এই টাকা অসঙ্গতিপূর্ণ। এই টাকা মানুষের ওকে জবাব দিতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুকুরের নামে ফ্ল্যাট। উনি একটা বড় সংস্থায় কাজ করতেন আমরা সবাই জানি। কিন্তু তারপরেও এত সম্পত্তি?' তাঁর পরামর্শ, 'এত বড় দুর্নীতি হয়েছে, সেটা একার পক্ষে সম্ভব নয়। সংগঠিত অপরাধ। পার্থবাবুর এখন উচিৎ এই যোগসাজশে কারা যুক্ত এবং কাদের নির্দেশে তিনি কাজ করেছেন। এসব কিছু খুলে বলা।' একইভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'একটি প্রজন্মকে প্রতারিত হতে হয়েছে। যোগ্য মেধাবী চাকরি প্রার্থীরা ক্লাসরুমের জায়গায়, পথে বসে প্রতিবাদ আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে। তাদের চোখের জল বৃথা যাবে না...।
যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন বিবেচনা করে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট যে তদন্ত প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেন, তার প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট কে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আইনি পদক্ষেপের ফল সবেমাত্র পাওয়া শুরু হয়েছে। হিমশৈলের চূড়া সবেমাত্র দৃশ্যমান হয়েছে।' এদিকে, টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে গোটা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, 'সাংবাদিক সম্মেলন করে দল পুরোটাই জানাবে। আমি টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে এই ব্যাপারে কিছু বলব না।'
যদিও শুক্রবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ট্যুইটে লেখেন, 'ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।'