পয়গম্বর ইস্যুতে বৃহস্পতিবার থেকে উত্তেজনা গ্রামীণ হাওড়ায়। সেই উত্তেজনার রেশ শনিবার ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের কান্দি, বেলডাঙা এলাকায়। এবার এই অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উসকানিকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, 'যারা অশান্তি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাদের আটকাতে পারছেন না, বরং উসকে দিচ্ছেন। তিনদিন ধরে বাস বন্ধ হচ্ছে, জাতীয় সড়কে অবরোধ হচ্ছে, ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের সমস্ত প্রান্তে একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও এরাজ্যে করা যাচ্ছে না।'
রবিবার সকালে রেলশহর খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দিয়ে রাজ্য সরকারকে এভাবেই কড়া নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, 'পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল রাজনৈতিক স্বার্থে দাঙ্গাকারীদের ব্যবহার করছে। কাশ্মীরে যখন ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয়েছিল তখন প্রশ্ন তুলেছিল এ রাজ্যের শাসকশিবির। তাহলে আজ কেন রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে হচ্ছে?'
এদিন খড়্গপুরে চা-চক্রে ফের রাজ্যে সেনা নামানোর পক্ষে সওয়াল করেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে "হেরো মুখ্যমন্ত্রী" বলেও কটাক্ষ ছুড়েছেন তিনি। একইসঙ্গে দিলীপের হুঁশিয়ারি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন নিয়ে এসে খড়্গপুর-মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা হচ্ছে। দাঙ্গাকারীদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করলে বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। বিজেপি পথে নেমে এবার যে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে, তাও কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।