হাজরা মোড়ে বিজেপির (BJP) 'চোর ধরো জেলে ভরো' কর্মসূচি (Protest Rally) ঘিরে ধুন্ধুমার। এই আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তবে মূল কর্মসূচি শুরুর আগেই বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতিকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পাশাপাশি হাজরা মোড় থেকে ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী আটক করে গেরুয়া শিবিরের একাধিক কর্মী সমর্থককে।
এই আটক প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পুলিস তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। জানি না আইপিসির কোন ধারায় পোস্টার লাগালে গ্রেফতার করা হয়। এই পুলিস বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আগেও আটক করেছে। আমি নিজের হাতে আজ পোস্টার লাগাবো।' এরপর প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই লকআপ গেটের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় তাঁদের। লকআপের বাইরের গেটে উঠে আটকদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের।
এরপরেই বিক্ষভকারীদের আটক করে একটি বাসে তোলা হয়। যদিও সন্ধ্যার পর লালবাজার থেকে ছাড়া হয় সুকান্তকে। এদিকে, শিক্ষায় দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মিছিল। প্রদেশ সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই মিছিল মৌলালির বিধানভবন থেকে,ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পর্যন্ত আয়জিত করা হয়েছিল। এখানেই অবস্থান করছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। এই ধর্না মঞ্চের পাশে অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই আশ্বাস কি আদৌ পূরণ হবে?
দলীয় কার্যালয় থেকে কীভাবে সরকারি আশ্বাস দেওয়া যায়? শনিবার প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, যারা বঞ্চিত চাকরীপ্রার্থী, তাঁদের পাশে থেকে সমর্থন জানাতেই এই মিছিল।