ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতিতে প্রচার, বিতর্ক তুঙ্গে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনকে ঘিরে। পাড়ার মোড়ে মোড়ে দেখা মিলছে উচ্চ নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীদের ভোটপ্রচার কর্মসূচি। সেই একই চিত্র পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া সহ একাধিক জেলায়। তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গা থেকে অপ্রীতিকর ঘটনার ছবিও উঠে এসেছে।
এবার প্রচারের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জহর পালের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন খড়্গপুরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদনীপুরের খড়্গপুরের ৩৩ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় এই ওয়ার্ডে প্রচারের সময় এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ প্রার্থী হিরণের। বাধ্য হয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে প্রচার ও বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তবে এই ইস্যুতে সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক শিবির।
পাল্টা তৃণমূল নেতা জহর পাল কটাক্ষের সুরে জানান, "হিরণ এখন পাগল হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেই আমার মিটিংয়ের সময় ৫ মিনিট ইলেকট্রিক ছিল না। তাহলে সেটা কি হিরণ বন্ধ করে দিয়েছিল?" তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সোমবার সকাল থেকেই কারেন্টের একটা সমস্যা এলাকায় দেখা যাচ্ছিল। তাই বলে তাঁদের দলের কর্মীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
অন্যদিকে বর্ধনামে অন্য একটি ঘটনায় প্রচার করার সময় বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় প্রার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাতছালা পিওনপাড়া এলাকায় বিজেপি প্রার্থী অমিত কুমার কুণ্ডু জানান, একাই প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। ভাতছালা কলোনির ঐকতান ক্লাবের কাছে তৃণমুল দুষ্কৃতীরা ঘুষি ও লাথি মারে। পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এলাকায় তাঁর প্রভাব আছে। ভোটে হেরে যাবার ভয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত্ দাস। তিনি জানান,সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। মারধর কেউ করলে থানায় অভিযোগ জানানো হোক। পুলিস তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
তবে এরই মধ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর হুগলিতে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মিঠু দাসের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি হুগলির মগরা থানার অন্তর্গত চন্দ্রহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির। অভিযোগের তীর দলেরই উপপ্রধান শক্তিপদ দাসের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উপপ্রধান সোমবারই বিজেপির ৩ সদস্যকে নিয়ে অনাস্থা ডেকেছিলেন। এরপরই এই ঘটনা।