বিজেপির জেলা সাংগঠনিক পদের মাথায় অযোগ্য, দুর্বল, অদক্ষ ব্যক্তিরা বসে। এতে আখেরে লাভবান হচ্ছে তৃণমূল। এই ক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দলীয় বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। মুর্শিদাবাদের এই বিজেপি বিধায়ক রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে রীতিমতো চিঠি লিখে তাঁর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। সেই চিঠির গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করে সুকান্তবাবু বলেছেন, 'চিঠি পেয়েছি। দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।' যদিও কেন এত ইস্তফার বহর? এই প্রশ্ন ফেসবুকে তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
ঠিক কী অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের? তিনি মুর্শিদাবাদে পুরভোটে দলের ভরাডুবির জন্য বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতিকে দায়ী করেছেন। সুকান্ত মজুমদারকে চিঠিতে ঠিক কী লিখেছেন বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ।
বিজেপি বিধায়কের এহেন অভিযোগ প্রসঙ্গে দলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পার্টি জেতেনি তার একটা ক্ষোভ আছে। পাশাপাশি পুরনো যাঁরা কর্মকর্তা, যাঁরা দলকে খেটে দাঁড় করিয়েছেন, কোনও কারণে তাঁরা মনে করছেন অবহেলিত। আমার মনে হয় এঁদের সঙ্গে দলের কথা বলা উচিৎ। দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, দলের ভিতরেই মেটাতে হবে।'
এদিকে, বিজেপি নেতা অনুপম ঘোষ জানান, বিজেপির কঠিন সময়ের যাঁরা সাথী
এবং দক্ষ সংগঠক, তাঁরা এত ইস্তফা কেন দিচ্ছেন? এর পিছনে কী রহস্য? আমরা যারা মাঠে নেমে আন্দোলন করতাম, সে সময় একুশের ভোটের আগে যারা বিজেপিতে এসেছিল, তাঁদের দেখা যায়নি। তাহলে বারবার কেন এই ঘটনা হবে? যারা বিজেপির আসল পতাকাধারী, তাঁদের কেন বসিয়ে রাখা হবে?
তবে শুধু গৌরীশঙ্কর ঘোষ নয়, দলে গুরুত্ব না পেয়ে রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দীপঙ্কর চৌধুরী এবং বাণী গঙ্গোপাধ্যায়।