প্রশান্ত কিশোর, ভোটকুশলী আসন্ন নির্বাচনগুলিতে কোনদিকে আছেন, কৌতূহল রাজনৈতিক মহলে। যতটুকু শোনা গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে কথাবার্তায় নাকি সবুজ সংকেত দিতে পারেন পিকে। এবার স্বাভাবিক প্রশ্ন, তৃণমূলের কী হবে। এর আগে দেখা গিয়েছে, পিকে যখন যে দলের সাথে পেশাদারি চুক্তি করেছেন, সেই দলের জন্য সেরা কাজ দেখিয়েছেন। মোট ৯ বার এইভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। গুজরাতে তৃতীয়বারের ভোটে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, এরপর আপ, পঞ্জাবে অমরিন্দর সিংয়ের কংগ্রেসের সঙ্গে, বিহারে লালু/নীতিশ জোটের সঙ্গে, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস/এসপি জোটে ২০১৭ তে, তামিলনাড়ুর ডিএমকের সঙ্গে, অন্ধ্রের ওআইএস কংগ্রেসের সঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে এবং এবার কংগ্রেসের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ভোট ছাড়া পিকের টিম কখনও পরাজিত হয়নি। এক অভূতপূর্ব ম্যাজিক, বলছে রাজনৈতিক মহল। সাম্প্ৰতিক কংগ্রেসের সঙ্গে যে চুক্তি হচ্ছে বলে বাজারে খবর, তাতে কিছুটা বিভ্ৰান্ত মেঘালয়ের তৃণমূল কংগ্রেস। শোনা গিয়েছে, পিকে নাকি কংগ্রেসের মধ্যে কিছু কাজ শুরুও করে দিয়েছেন।
এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড বা গোয়া জয়ের পর অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। পক্ষান্তরে সারাদেশে কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই অবস্থা থেকে কংগ্রেসকে গুজরাত, রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক বা ছত্তিশগড়ে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, তার পরিকল্পনা যথেষ্ট কঠিন বিষয়। শোনা গেল, প্রশান্ত কিশোরকে নাকি কংগ্রেসের মুখপাত্র করতেও দ্বিধা করছেন না সোনিয়া গান্ধি বা রাহুল গান্ধি। কিন্তু প্রশ্ন আসছে, যদি তৃণমূলের সঙ্গে পিকের ২০২৪ অবধি চুক্তি থাকে, তবে একই সাথে কংগ্রেসের সঙ্গে চুক্তি করেন কী করে? জানা গিয়েছে, বৃহত্তর জোট করতে গেলে এবং বিজেপির সঙ্গে লড়তে গেলে এভাবেই নাকি চলতে হবে। কিন্তু সংকট হয়েছে মেঘালয়ে। সেখানে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা সাংমা এবং তাদের তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, যদি কংগ্রেসের সঙ্গে পিকে চুক্তিবদ্ধ হয়, তবে মেঘালয়ের সমীকরণ কী হবে? আগামী কয়েকদিন বা কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয় যাবে পিকের ভবিষ্যতের প্ল্যান।