Share this link via
Or copy link
বাংলায় চলা শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ব্যবস্থা নিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata) চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও সেই চিঠির কোনও জবাব পেলাম না। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister)। খড়গপুর আইআইটির অনুষ্ঠানে যোগদানের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন সকাল শহরে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।
তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলায় এতকিছু হয়ে গেল। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে, বড় কর্তা, মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এখনও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আর কত সময় লাগবে তরুণদের ন্যায় পেতে? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত অগাস্ট মাসে। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।
তাঁর মন্তব্য, 'এই দুর্নীতি-কাণ্ডে মন্ত্রী, উপাছারজ-সহ সবাই জড়িত। এই দুর্নীতি-কাণ্ড মানুষের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে সরানোই লক্ষ্য।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'বাংলায় নানা খাতে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতি হয়, সরকার আর পার্টি এক হয়ে যায়। এমনকি, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকাতেও নয়ছয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।'
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা এই দাবি করে কুণাল ঘোষের প্রস্তাব, 'ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ মধ্যপ্রদেশ কিংবা সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া ত্রিপুরায় গিয়ে এসব বলুন। ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে যেখানে ইন্যম করেছে সেখানে যান। বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নতি করেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান সত্যের অপলাপ করেছেন।' কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'অযোগ্য বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য দিয়ে ভুল বলান। ধর্মেন্দ্র প্রধানজি ভালো করে খোঁজ নিক।