১৯ মার্চ, ২০২৪

Tripura: ত্রিপুরায় ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব পাঁচ)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-29 12:40:45   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: ভোট দিন ধার্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে ত্রিপুরায়। কাজেই সব দলের সাজো সাজো রব। ভোটের বালি ঘড়ি যত এগোচ্ছে, দেখা যাচ্ছে যথেষ্ট টেনশনে সমস্ত দলই। ত্রিপুরার বছর ছয়েক আগে বিজেপি বলে কোনও দল খাতায় কলমে ছাড়া অন্য কোথাও ছিল না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি নাই থাকবে তবে তারা ক্ষমতায় এলো কী করে?

আসলে ত্রিপুরার মানুষ একটা পরিবর্তন চাইছিলো। দীর্ঘদিন বাম শাসনে খুশি ছিল না ওই রাজ্যের মানুষ। যদিও এটা বাস্তব পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরার বাঙালিরা একটু বাম ঘেঁষা, কারণ পরিষ্কার। স্বাধীনতার সময়ে ভারত ভাগ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ হিন্দু দুই পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এই দেশের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম এবং পঞ্জাবে আশ্রয়ে নেয়। ওই সময়ে দেশের কমিউনিস্টরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করে এবং উদ্বাস্তুদের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে দেশের কংগ্রেসকে দিয়ে কিছু হবে না বাম ও গণতান্ত্রিক দল দরকার। লক্ষ্য করে দেখলে প্রমাণ হবে এই চার রাজ্যেই কমিউনিস্টরা তাদের শক্তি বাড়িয়েছিল।

ক্ষমতায় এসে বামেরা দীর্ঘদিন রাজ করেছে বাংলা ও ত্রিপুরায়। সেই বাম মনোভাব কেটেছে শেষ পর্যন্ত অনটনে। পরিবর্তন এসেছে বাংলায়, ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় বিজেপি আসার কোনও কথাই ছিল না। ওই রাজ্যের বিরোধী কংগ্রেস ভেঙে গেলে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তৃণমূল।

এলাকার মানুষ বলে মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্তের উপর দায়িত্ব রাখাটা ভুল ছিল মমতার। এই দোদুল্যমান অবস্থা চলার সময়ে বিজেপি তাদের সংগঠন নিয়ে আসে ত্রিপুরায় এবং বিরোধীরা একযোগে চলে যায় বিজেপিতে। কিন্তু তারপর তারা ক্ষমতায় আসার পর একটা সংঘাত বাঁধে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও প্রাক্তন কংগ্রেসীদের মধ্যে। এমনটাই কানাঘুষো শোনা যায়।

এক সময়ে বাধ্য হয়েই বিপ্লবকে সরিয়ে একসময়ের কংগ্রেসি মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আপাতত ওই ফর্মুলা থেকে অনেকটাই সরে আবার নতুন ভাবে এবারের ভোটার পরিকল্পনা করছে তারা। ২৩ জন নতুন মুখ নেওয়া হয়েছে। বিপ্লব দেবকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি। কিন্তু এতেই কি কাজ হবে তার জন্য অপেক্ষা রেজাল্ট আউট অবধি। (চলবে)


Follow us on :