Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় বিজেপির আপাতত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও ভাবনা নেই বলেই খবর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পদ্ম শিবিরের জাতীয় সভাপতি নাড্ডা, অমিত শাহ এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে প্রচার প্রস্তুতির যে খবর ছিল, সে নিয়ে চূড়ান্ত কোনও খবর এই মুহূর্তে নেই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন আসন্ন ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের বিধানসভা ভোটের দিকেই জোর দেবেন বলেই খবর। কিন্তু কী অবস্থা ওই রাজ্যগুলির? ধরা যাক ত্রিপুরার রাজনৈতিক অবস্থান।
ত্রিপুরাকে মিনি পশ্চিমবঙ্গ হিসাবে অনেকেই বলে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানেও কংগ্রেসের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট রাজ করেছে। একইসঙ্গে এও বলা যেতে পারে যে অনেক মিল বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার থাকলেও, অমিলও প্রচুর। এ রাজ্যে বাঙালি প্রধান হলেও, আদি ত্রিপুরা উপজাতির বাস রয়েছে। ত্রিপুরী নামে তারা পরিচিত এবং অসমের মতোই এই উপজাতিদের বাঙালিদের উপর প্রবল ক্রোধ। এই নিয়ে শহরতলীর অদূরে একদা বহু হত্যালীলা চলেছিল। এই সমস্যার সমাধান অনেকটাই করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ সত্বেও বামেদের উপর স্থানীয় বাঙালি ও উপজাতিদের প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল, তারাও চেয়েছিল রাজ্যে পরিবর্তন।
মনে রাখতে হবে ওই রাজ্যে কিন্তু কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই বামেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোনও গণআন্দোলন ঘটেনি। জানা যায় যে এ রাজ্যের মতোই ওই রাজ্যেও বামেরা একেবারেই প্রশাসন ও সংগঠনকে পুরোপুরি নিজেদের হাতেই কুক্ষিগত করে রেখেছিল। দল করলে চাকরি বা ব্যবসা পেতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু ত্রিপুরায় হাতে গোনা সরকারি চাকরি ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়েই ছিল। আর ওই রাজ্যে কোনও বাণিজ্যও নেই, যা আছে তা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ট্রেডিং ব্যবসা। ফলে এক শ্রেণীর মানুষ করে-কম্মে ছিল আর বেকার ও কর্মহীনের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছিল। এখান থেকেই পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের হাওয়া ধরতে তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কারণ তখন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভেঙে গিয়েছিল। ভাঙার কারণ কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী ও সিপিএমের বন্ধুত্ব। তৃণমূল কিন্তু ভালোভাবেই এগিয়েও সংগঠন ধরে রাখতে পারেনি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তর অযোগ্যতা। ( পরের পর্বে বাকি অংশ)