Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: কোন দল কোথায় দাঁড়িয়ে তা শেষ পর্যন্ত প্রশ্নই থেকে যাবে ত্রিপুরায়। আপাতত প্রচার শুরুর অবস্থান যে যেখানে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকেই। তিপরা মোথা নামক নতুন দলের প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মন মোটামুটি নিজের দলের ভরসায় ভোট লড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। মাণিক্যের পূর্বপুরুষ একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয় আইনসভাতেও তাঁদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। কিন্তু দিন পালটেছে, দীর্ঘদিন বামেরা ত্রিপুরা রাজ্য চালিয়েছে নিজেদের দলে থাকা আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেই। এখানে আদিবাসীরা আলাদা দল গড়লেও রাজ্যে ছাপ ফেলতে পারেনি।
কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী উন্নয়নে কাজ হচ্ছে না বলে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি বারবার আবেদন করেছিল। বর্তমানে ওই দলের প্রায় সব বিধায়ক তিপরা মোথা দলে যোগ দিয়েছে। ত্রিপুরার ৬০টি আসনের মধ্যে ২০টি আসন কিন্তু আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত। ফলে প্রশ্ন থাকতেই পারে ভাঙা দল আইপিএফটি সেখানে দাঁত ফোটাতে পারবে কি?
প্রচারের প্রাথমিক লগ্নে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৮ আসনে তিপরা মোথা প্রার্থী দিয়েছে। তাদের দাবি ১৮টি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত। যদি তাই হয় তবে প্রশ্ন বিজেপির জোটসঙ্গী একটিও আসন জয় করতে পারছে না। কাজেই বিজেপিকে বাকি ৪২ আসনের মধ্যে ৩১ আসন জিততেই হবে ক্ষমতায় ফিরতে। অবশ্য ওপিনিয়ন পোল ইত্যাদি যা দেখাচ্ছে তাতে খোদ ত্রিপুরাবাসীর ভরসা নেই।
এখানে ওপার বাংলা থেকে আগত বাঙালির অবস্থান ৯৫ শতাংশ এবং এই আদিবাসী ও বাঙালি ভোটারদের মধ্যে সখ্যতা নেই। পশ্চিমবঙ্গে যেমন ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জয় করেছিল। সেই ফর্মুলায় ত্রিপুরায় পদ্ম শিবির চেষ্টা করবে বাঙালি ও আদিবাসীদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি করে ঝুলি ভরানোর।
কিন্তু এতেও সমস্যা আছে। ওই ২০টি আদিবাসী এলাকায় প্রার্থী দিতে হবে বিজেপিকে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী যেই হোক, তার আদিবাসী হওয়া জরুরি। এখানেই বাঙালি ভোটারদের মধ্যে প্রশ্ন থাকবে যে সেই তো বাঙালি/আদিবাসী জোটেই সরকার হচ্ছে। কাজেই খুব হিসাব করে এগোতে হচ্ছে বিজেপিকে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কিন্তু কালবিলম্ব না করে প্রচারে বেড়িয়েছেন। (আগামী সংখ্যা দেখুন)