Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, তারপরে ত্রিপুরার ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে যাবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ৭২ ঘন্টা আগে কে কোথায় দাঁড়িয়ে? ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়া ইস্তক প্রচার যা বিপুল ভাবে হয়েছে, তা কিন্তু বিজেপির পক্ষে অ্যাডভান্টেজ। ক্ষমতায় থাকা দল নিশ্চিতভাবে চেষ্টা করবে, ফের ভোটে জিতে ফিরে আসতে। ৫ বছর রাজত্ব করার পর যেকোনও স্থানে একটি বিপরীতমুখী ভোটের হওয়া ওঠে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরার রাজনৈতিক ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন ধর্মী।
এখানকার জনতা বারবার ক্ষমতাসীন দলকে সুযোগ দেয় বা দিয়ে এসেছে। বাম জমানা যেমন দীর্ঘদিন দুই রাজ্যে ছিল এবং তাদের পরাজিত করে এ বাংলায় তৃতীয় বারের মতো তৃণমূল সরকার। তেমন দীর্ঘ কংগ্রেস শাসন যেমন ছিল ত্রিপুরায়, তেমন বাম শাসনও ছিল দীর্ঘদিন। কাজেই ওই অংকে বলা যেতেই পারে ফের একবার হয়তো বিজেপিকে সরকার গড়তে সুযোগ দেবে ওই রাজ্যের ভোটাররা।
এদিকে একটি অলিখিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিজেপির ভোট ২০২২-এ ৪০ শতাংশের মতো ছিল। একইসঙ্গে ওই অলিখিত সমীক্ষা (যা সিএন পোর্টাল যাচাই করেনি) বলছে, যে কংগ্রেস-বামেদের মিলিত ভোট এই মুহূর্তে ৩১ শতাংশের কাছাকাছি। সেটা হলেও অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃতীয় শক্তি তৃণমূলের ভোট ৬/৭ শতাংশ। বাকি ভোট উপজাতি কেন্দ্রিক দল তিপরা মাথা-সহ অন্যদের।
কিন্তু এখানে জটিলতা রয়েছে, তৃণমূল মাত্র ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কাজেই বাকি ৩২ আসনে কী হতে পারে? আরও আছে, তিপরা মোথা নিজেদের ১৮টি আসন ব্যতীত বাকি আসনে বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করেছে। সরাসরি সুদীপ রায় বর্মনকে ভোট দিতে প্রচার করেছে। অতএব ফ্যাক্টর কিন্তু ৪২ আসন। এই ৪২ আসনে তৃণমূলের ৬% ভোট বাদ দিলে এবং বিজেপির ৪০ শতাংশ বাদ দিলে বাকি আসনে কী দাঁড়াতে পারে তাই নিয়ে মাথাব্যথা সব দলের। এসব জটিল অংকের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি, শেষবেলায় যে দলের সংগঠন ভোট করাতে পারবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে।