পশ্চিমবঙ্গে পুরসভার ৪ কেন্দ্রে ভোট আগামী ২২ জানুয়ারি। কিন্তু ভোটের আগে কোর্টকাছারি করে অবস্থান কোথায় দাঁড়াবে, কে বলতে পারে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি খুবই বিরক্ত হয়ে জানান, ভোট করার দায়িত্ব বা আপাতত বন্ধ করার ক্ষমতা কার? সরকারি পক্ষের আইনজীবী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে খুশি নন প্রধান বিচারপতি। ফলে ভোট আপাতত বন্ধ হবে, না ২২ জানুয়ারিই হবে, তার রায় দেওয়া গেল না।
অন্যদিকে ৪ কেন্দ্রে প্রচার চলেছে পূর্ণোদ্যমে। অবশ্য শুধুই তৃণমূলের প্রার্থীদেরই পথে দেখা যাচ্ছে। কলকাতার মেয়র ববি হাকিম একটি কথা বলেন সর্বদা, কাউন্সিলর নির্বাচন মানেই মানুষের দরজায় যাওয়া অবশ্যই কভিডবিধি মেনে। সে যাই হোক না কেন, বিরোধীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে বা পুরসভায় মেয়রের মুখ কে বা প্রচার জোরদার করার পদ্ধতি কী, জানা যাচ্ছে না।
তৃণমূল বিধাননগরে তিন প্রার্থীর মধ্যে থেকে মেয়র ঠিক করবে বলে দাঁড় করিয়েছে সব্যসাচী দত্ত, কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং দেবরাজ চক্রবর্তীকে। লক্ষণীয় বিষয়, বিধাননগরের একটি অংশ আদি বিধাননগরে পড়ে। যেখানে বরাবরই খুব লড়াই করে তৃণমূলকে জিততে হয়েছে। এই অঞ্চলে এক সময় সুভাষ চক্রবর্তী জিততেন। পরেও তৃণমূলের সুজিত বসুকে যথেষ্ট কষ্ট করে জিততে হয়েছে। প্রথমে কংগ্রেসের অরুণাভ ঘোষের বিরুদ্ধে, আর এবার বিজেপির বিরুদ্ধেও জিততে হয়েছে যথেষ্ট চাপে থেকে। অথচ সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপির এখানে কোনও বিরোধী নেতার মুখ নেই। এই বিধানসভার পাশেই নিউটউন ও গোপালনগরের দুটি বিধানসভা রয়েছে, যেখানে বিজেপি খুবই খারাপ ফল করেছে। তা যাই হোক না কেন, প্রস্তুতি কোথায়?
একই অবস্থা চন্দননগরের। সেখানে তাবড় তাবড় তৃণমূল প্রার্থী রয়েছে। অথচ এক সময় বামেদের হাতে থাকা এই পুরসভাতে বামেদের কোনও প্রার্থী নেই। নেই কোনও বিজেপির মুখ। বাকি থাকল আসানসোল এবং শিলিগুড়ি। এই দুটি কেন্দ্রে লোকসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছিল, এবারে কী অবস্থা জানানো হবে আগামী পর্বে।