Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: এক সপ্তাহ আগে এই পোর্টালে এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল সৌরভের সঙ্গে তৃণমূল কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিত। ফের সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হাজির হলেন নবান্নে, একান্ত সাক্ষৎকার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রশ্ন এবং জল্পনা ফের শুরু রাজ্য রাজনীতিতে! ফের একবার পাঠকদের মনে করিয়ে দেওয়া উচিত, আগামী দিনে কি নতুন পরিকল্পনা? সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন মহারাজ, এমন গুঞ্জন আছে। তবে এটাও বাস্তব, ভাগ্য বিড়ম্বনা তাঁর জীবনে এসেছে অনেকবার। আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। ১৯৯২-এ প্রথম ভারতীয় দলে নাম ওঠে তাঁর। কিন্তু মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিসের সঙ্গে, তারপর ৪ বছরের অপেক্ষা।১৯৯৬-এ ভারতীয় বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। জগুবাবুর স্নেহাশিসে, দাদা তাঁর নিজের দাদা স্নেহাশিসকে টপকে ফের সুযোগ পান ভারতীয় দলে। তারপর থেকে অন্তত ১০ বছর ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলার মহারাজকে।
সৌরভের সঙ্গে একসময় বাম মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। মমতা ক্ষমতায় আসার পর সৌরভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগ নিয়মিত হয়। মমতার কল্যাণে সৌরভ বাংলা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হন। এই সময়ে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রের সরকার বা বিজেপির সঙ্গে বিশেষ করে অমিত শাহর সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয় 'দাদা'র।
অনেককে পিছনে ফেলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও হন তিনি। জোর গুঞ্জন ছিল একুশের ভোটে সৌরভ হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন। কিন্তু সৌরভ সূক্ষ্ম বুদ্ধি খাটিয়ে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে যান। এবার হয়তো সে কারণেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এমন গুঞ্জনও চলছে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। বিসিসিআই থেকে তাঁর বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত হয়।
এরপর দ্রুত নানা ঘটনা ঘটতে থাকে। দুর্গাপুজোর প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে মমতার মঞ্চে সৌরভকে হাজির থাকতে দেখা যায়। তাঁকে দেখা যায় ফিল্ম ফেস্টিভেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সৌরভের খবরও নিয়মিত রাখতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি শিক্ষাবিদ সত্যম রায়চৌধুরীর ডাকে তাঁর সাহিত্য অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বাংলা সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন দাদা। এতেই জল্পনা আরও বাড়ে।
সোমবার ঠিক বিকেল ৪টের সময় হঠাৎই সৌরভ হাজির হন নবান্নের ১৪ তলায়। সূত্র জানাচ্ছে, দিদির ডাকেই দাদা নাকি গিয়েছিলেন রাজ্য সচিবালয়ে। কিন্তু কেন? নিজের বাণিজ্যের কাজে? সে তো ফোনেই সেরে ফেলা যায়, তবে? শোনা যাচ্ছে ২০২৩-র অগাস্টে বাংলা থেকে রাজ্যসভার একাধিক আসনে নির্বাচনের সম্ভাবনা। তবে কি দেওয়াল লিখন এখন থেকেই পড়া শুরু দাদা অনুরাগীদের?