প্রশান্ত কিশোর, ভোট জাদুকর। ক্রমাগত তাঁর বুদ্ধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে বা ক্ষমতা ধরে রেখেছে। একবারই পিকে ফ্লপ করেছিলেন, সেটি ২০১৭ র উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে (UP Election)। তার কারণও যথেষ্ট ছিল। পিকে কংগ্রেস-এসপির জোটের মুখ করতে চেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে (Priyanka Gandhi)। কিন্তু রাহুল (Rahul) রাজি হননি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছিল, বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এসেছিল। ওই একবারই, বাকি পিকে মানেই জয় অনিবার্য। এখনও পর্যন্ত বাংলার (Bengal) দায়িত্বে আছেন পিকে। কিন্তু এরমধ্যেই গত এক বছর ধরে শোনা যাচ্ছে, তিনি কংগ্রেসের (Congress) দায়িত্ব পাবেন, তা এতদিন হয়নি। হয়নি কারণ, অনেক শর্তে নাকি রাহুল-সোনিয়া রাজি হননি। ফলে পঞ্জাব হাতছাড়া হয়েছে। গোয়া ইত্যাদি রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি। এবার কিন্তু দলের অন্দরের কোন্দল বেড়েই চলেছে। দলে থাকলেও রাহুল বা বর্তমানে প্রিয়াঙ্কারও যে কোনও ক্যারিশমা নেই, তা প্রমাণিত হয়েছে। ফের তলব করা হয়েছে পিকে-কে।
সূত্র মারফত অন্দরের খবর যতটুকু জানা গিয়েছে, তাতে গান্ধি পরিবার নাকি পিকে-কে সমস্ত ক্ষমতা দিতে চাইছে। পিকে ভীষণ রকম পেশাদার। তিনি জানেন, আসন্ন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের পক্ষে জেতা ভয়ঙ্কর কঠিন। এখন দলের মুখ বলতে ওই অসুস্থ সোনিয়া বা রাহুল ফর্মুলাতেই চলেছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের দুটি কেন্দ্রের ভোটের সঙ্গে আরও তিন রাজ্যের তিন কেন্দ্রের বিধানসভার উপনির্বাচন ছিল। এখানে দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াই ছিল, দুটিতেই কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। এখানে নাকি পিকের কিছু টিপস ছিল বলে গুঞ্জন। কিন্তু এই দুই কেন্দ্র জেতার পর পিকে-কে ডেকে পরপর কয়েকদিন বৈঠক করেছেন সোনিয়া-রাহুল। অবস্থান বুঝে পিকে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে খবর। কিন্তু শর্ত একটাই, তাঁর কাজে নাক গলানো চলবে না। গান্ধিরা কি তাতে রাজি হবে? মমতা কিন্তু হয়েছিলেন, ফলও পেয়েছেন হাতে গরম। সোনিয়া পিকেকে দলের মুখপাত্র করতে চাইছেন। কিন্তু পেশাদার পিকে কি তাতে রাজি হবেন?