Share this link via
Or copy link
বিজেপি রাজ্য দফতরে বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) সন্দেশখালির দুই তৃণমূল নেতার (TMC) সঙ্গে মাদক পাচার (Drug Smuggling) যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। সেই সময়েই বিধানসভায় দুর্নীতি প্রশ্নে শাসক দলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক বিধায়ক-সহ একাধিক নেতার সম্পত্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, 'তৃণমূলের ৯৯.৯৯% নেতা দুর্নীতিপরায়ণ (Corruption) নথি ধরে ধরে প্রমাণ করব। কুলতুলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডলের মোট দলিলের সংখ্যা ৩৯টি। একশো দিনের টাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই কুলতলিতে। শুধু গণেশ চন্দ্র মণ্ডল নয়, তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ২০১৯-২০২১ সালের মধ্যে সম্পত্তি কিনেছেন।'
তাঁর দাবি, 'ডায়মন্ড হারবার এক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গৌতম অধিকারী এবং তাঁর পরিবারের নামে ১১টি সম্পত্তি রয়েছে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নামে ছয়টি সম্পত্তির দলিল পেয়েছি।' এদিন শুভেন্দু অধিকারী জাহাঙ্গির খান নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল নেতার প্রসঙ্গ টানেন। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'জাহাঙ্গির খান, তোলাবাজ ভাইপোর বড় এজেন্ট এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই ব্যক্তির নামে ৩৯টি সম্পত্তি রয়েছে। জাহাঙ্গির খানের নামে ৬টি সম্পত্তির দলিল আমরা পেয়েছি।'
শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, 'এটা আদতে ডায়মন্ড হারবার মডেল। ডায়মন্ড হারবার মডেল মানে মদের বোতল থেকে ৫ টাকা সঙ্গে গোরু, পাথর, কয়লা তো আছেই। এই যা সম্পত্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম সঠিক মূল্যায়ন করলে মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ কোটির বেশি।' যদিও এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর তোলা অভিযোগ খারিজ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। তিনি জানান, আমার কোনও বেআইনি সম্পত্তি নেই। অভিযোগের কতটা ভিত্তি আছে জানি না। আমার যা সম্পত্তি এবং ব্যবসা রয়েছে সব আইনি এবং আয়কর রিটার্নে বলা।