Share this link via
Or copy link
সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রাখেন, তার মূল প্রতিপাদ্য কিন্তু ঘরে ঘরে যেতে হবে। কর্মসূচি - দিদির সুরক্ষা কবজ। দলের অন্দরের বার্তা এই যে, ঘরে বসে কাজ বা আরামে দিন কাটানো যে নেতারা আছেন তাঁদের পথে নামতে নির্দেশ।
লক্ষণীয় বিষয় এই যে, মঞ্চে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ছাড়া কাউকেই দেখা যায় নি। নির্দেশিকা নাকি এমনই ছিল। একবার শুধু মন্ত্রীদ্বয় শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় দিতে দেখা গিয়েছিলো। এ ছাড়া বাকি সবাই বসেছিলেন দর্শকের আসনে। বার্তা এইরকম এখন থেকে কর্মী ও নেতা সকলকেই পথে নামতে হবে কাজেই একসাথেই অবস্থান হোক।
পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কের বিষয়ে বিশেষ কিছু বার্তা দিলেন না মমতা। কিন্তু একই সাথে দলের ছাত্রযুবদের স্নেহাশিস জানালেন তিনি। তবে যে বয়সের যিনিই হন না কেন, পথে নামটাই প্রধান কাজ হবে তাঁদেরও। কিন্তু কোন অবস্থানে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের আইটি সেল? খোঁজ করে জানা যাচ্ছে এই একটি সংস্থা যার কোনও সাংগঠনিক কাজ নেই। অনেকটাই পিছিয়ে সিপিএম বা বিজেপির থেকে।
এখানে অনেকেই নিজেকে তৃণমূল হিসাবে তুলে ধরে আত্মপ্রচারে ব্যস্ত। এমনটিই দেখা গিয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে। যেখানে দায়িত্ব প্রাপ্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য কোনও একটি গোষ্ঠীর ডাকে উপস্থিত হয়ে ভাষণ দিচ্ছেন অন্যদিকে শোনার লোক নেই, সকলেই তাঁর সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অবশ্যই বিজেপি বা অন্যদলে রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলে কত শত যে গ্রুপ আছে তা বোধকরি দেবাংশুরও ধারণা নেই।
এদের একাট্টা করে দলের বার্তা মানুষের কাছে দেওয়ার থেকে কেউ ব্যস্ত পোর্টাল বা ফেসবুক অথবা টেলিভিশনগুলোর টকশোতে বসার জন্য উদগ্রীব, কেউ আবার দলের মধ্যে উপদল খুলে গ্রুপ করছে। দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সদস্যদের ঢালাও পুরস্কার। প্রশ্ন, টাকা দিচ্ছে কে?