Share this link via
Or copy link
ভোটের জন্য মুসলিম মহিলাদের (Muslim Woman) সার্বিক উন্নয়নে বাধা দেয় বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) প্রথম দফার ভোট গ্রহণ চলছে। সেই আবহে শাহারানপুরে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তাঁর দাবি, 'উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার (Yogi government) মুসলিম মহিলাদের উপর নির্যাতন রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।'
এদিন তিনি জানান, তিন তালাক প্রথা তুলে দিয়ে মোদী সরকার মুসলিম মহিলাদের সামাজিক ন্যায়-বিচার দিয়েছে। কিন্তু যখনই বিরোধীরা দেখছে নরেন্দ্র মোদী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তখনই তাঁদের আটকাতে উঠেপড়ে লাগছেন। ওদের থামাতে নতুন পন্থা নিয়ে আসছেন বিরোধীরা। কোনওভাবেই মুসলিম মহিলাদের প্রত্যাশা এবং অধিকার পূরণ করতে দেবেন না তাঁরা।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অপরাধের শিকার বা নিগৃহীত সব মুসলিম মহিলাদের পাশে বিজেপি। কিছু মানুষের জন্য সংখ্যালঘু মহিলারা অনেক পিছিয়ে। রাজ্যের মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন, যারা উত্তর প্রদেশকে দাঙ্গা-মুক্ত রাখবে। যারা আমাদের মা-বোনকে নিরাপত্তা দেবে। অপরাধীদের জেলে পুড়বে। উত্তর প্রদেশ তাঁদের ক্ষমতায় বসাবে।'
এদিকে, প্রতীক্ষিত উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ভোট গ্রহণ। এদিন প্রথম দফায় ৫৮টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। শেষ পাওয়া খবর সকাল ৩টে পর্যন্ত ভোটদানের হার ৪৮.২৪%। লক্ষ্মীবার সে রাজ্যের ৬২৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য ব্যালটবন্দি হচ্ছে। এদিন মোট ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভোট দেবেন। এদিন আবার শাহারানপুরে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বিজেপির ইস্তেহার জনকল্যাণকর। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কয়েকটি আসন সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ চলছে। মানুষ শীতের সকালে ভোট দিতে বেরিয়েছেন। দেখে ভালো লাগছে।'
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় রাজ্যের ১১টি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। বেশিরভাগ পশ্চিম উত্তর প্রদেশ অঞ্চলে। জাঠ অধ্যুষিত এই বিধানসভায় পাল্লা ভারী বিরোধী সপা এবং আরএলডি জোটের। এই বছর পশ্চিম উত্তর প্রদেশ বিজেপিকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। কারণ এক বছর ধরে চলা কৃষি আন্দোলনের অধিকাংশ জমায়েত এই অঞ্চল থেকেই ছিল। দলে দলে কৃষক পরিবার যোগ দিয়েছিল দিল্লি সীমান্তে।