Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্তঃ কলকাতা ময়দানে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দুদিনব্যাপী অবস্থান করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ। বিষয় অবশ্যই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা বা কেন্দ্রের অসহযোগিতা নিয়ে। এর আগে বিরোধী থাকার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ধরনের আন্দোলন হামেশাই করতেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের লাগাতার অবস্থান পুরাতন দিনকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস বলেই দাবি তৃণমূলের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ধর্মঘট, বনধ এক প্রকার তুলেই দিয়েছিলেন। কিন্তু ফের সেই পথে ফিরে গেলেন এবং মধ্য কলকাতা এক প্রকার স্তব্ধ হয়ে গেলো এই অবস্থানে। যদিও বছরে একবার ২১ জুলাই এবং একবার ২৮ অগাস্ট মমতা ধর্মতলায় সভা করেন। কিন্তু এবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরপর দু-দিন।
বুধবার মমতার অবস্থানের সঙ্গে ছিল জাতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। পরে অবশ্য অভিষেক মমতার ধরনা মঞ্চেও আসেন। শুধু অবস্থান নয়, মাঝে মধ্যেই সকাল থেকে ছোট্ট ছোট্ট ভাষণ দেশব্রতী গান ইত্যাদি চলেছে। মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কাজেই উন্নয়ন আটকে রয়েছে। তিনি বাজেট থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেনন্সির তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ডিএ নিয়ে আন্দোনকারীরা মমতার মঞ্চের খুব কাছেই ছিল। তাঁদের একাংশকে সমালোচনা করেন তিনি।
মমতা বলেন, বাম আমলে চিরকুট নিয়ে চাকরি পাওয়া মানুষ আজ বেতন নিয়ে আন্দোলন করে যাঁরা তাঁরা চোর-ডাকাত ইত্যাদি বলেই সংবাদ। এই বক্তব্যে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ফলে একদিকে যেমন তিনি ও অভিষেক তীব্র বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের তেমনই সমালোচিত হয়েছে সিপিএম বা বামেরা।
কিন্তু এবারে কংগ্রেস নিয়ে একটিও বিরূপ মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী বা অভিষেক। মমতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে। এতদিন তিনি বলেছেন আসন্ন ভোট তৃণমূল একাই লড়বে। কিন্তু বুধবার সেই কথা থেকে সরলেন কি মমতা? রাহুল গান্ধীর পাশে বক্তব্যের মাধ্যমে দাঁড়ালেন অভিষেক। তিনি বললেন যে, 'মোদী' নিয়ে বক্তব্য তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যখন 'দিদি ও দিদি' বলেন তখন নীতি কোথায়? এবারে প্রশ্ন উঠেছে সাগরদিঘির ফলাফলের পর কি মমতা স্ট্রাটেজি বদলাচ্ছেন? সময় বলবে।