১৯ মার্চ, ২০২৪

Tripura: ত্রিপুরার ভোট, কে কোথায় দাঁড়িয়ে (পর্ব ৮)
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-02-06 14:41:33   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরায় বাঙালি ও উপজাতি রয়েছে, যা এর আগেও বলেছি। কিন্তু সে রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের যেমন মিল রয়েছে তেমন অমিলও বিস্তর। মিল রয়েছে সংস্কৃতিতে, পুজো-অর্চনা, শিক্ষাক্ষেত্রে। সেখানেও ঘটা করে পয়লা বৈশাখ থেকে রবীন্দ্র- নজরুল জয়ন্তী যেমন পালিত হয় তেমনই দুর্গাপুজো ওই রাজ্যের প্রধান উৎসব। তারপর কালীপুজো,সরস্বতী পুজো ইত্যাদি নিয়ম করে পালিত হয়ে থাকে। এ রাজ্যে যেমন বইমেলা পালিত হয় তেমন আগরতলা বইমেলাও প্রতিবছর পালিত হয় রাজবাড়ীর সামনের মাঠে।

কিন্তু অমিলও আছে, প্রথমত ভাষাগত। এখানকার বাঙালি বলতেই ওপার বাংলার কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে আগত উদ্বাস্তু। বাংলাদেশ বা উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাষার মতো পূর্ববঙ্গীয় ভাষা এখানে। এখানকার মানুষের খাওয়াদাওয়া একটু ভিন্ন। এখানে ছুটির দিনে জলখাবার থেকে নৈশভোজ অবধি ভাত চলে। তিন বেলায় ভাত, লুচি-পরোটা বা চাউমিন অথবা পাউরুটি যে চলে না, তা নয় কিন্তু এই খাবারের প্রতি ঝোঁক কম। মাছ খেতে ত্রিপুরাবাসী খুব ভালোবাসে কিন্তু মাছ মাংস থেকে তরিতরকারির দাম প্রচণ্ড।

কলকাতার রাস্তায় এখনও ২৫ টাকায় ভাত-ডাল-সবজি পাওয়া যায়। কিন্তু আগরতলার যেকোনও ভাতের হোটেলে সবজি-ডাল-ভাত খেতে ৭৫ টাকা খরচ হয়। মাছ-ভাত ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা অবধি দাম ওঠে কাজেই এখানকার মানুষ পারতপক্ষে রাস্তায় বা হোটেলে খেতে চান না।

চাকরি বলতে সরকারি। পশ্চিমবঙ্গে ১২% মানুষ সরকারি চাকরি করে এবং বাকি বেসরকারি। কিন্তু ওই রাজ্যে চাকরি মানেই সরকারি, কিছুটা বেসরকারি। সমস্যা শিল্প-বাণিজ্য নেই, কাজ করবে কোথায়? কিছু সংস্থার শাখা অফিস যা আছে তাতে ক'জনই বা কাজ করে।ব্যবসা বলতে ট্রেডিং। আসলে ত্রিপুরায় শিল্প হলে তার প্রোডাক্ট সারা ভারতে পাঠাতে যে পরিমান জ্বালানি খরচ হবে তাতে ভারতের অন্য প্রান্তের ওই একই প্রোডাক্টের দামের কাছে মার খাবে এ রাজ্যের প্রোডাক্ট। ফলে চাকরির বাজার খুবই খারাপ।

বর্তমানে রাজ্যের মানুষের দাবি কর্ম-দ্রব্যমূল্য হ্রাস। কংগ্রেস থেকে বর্তমান বিজেপি সরকার কেউই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। (চলবে) 


Follow us on :