Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরদার লড়াই দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। দলের হাজারো গোষ্ঠীকে পাশে রেখে একসাথে চলার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেটা কীভাবে সফল হবে, পরের কথা কিন্তু ইতিমধ্যে জেপি নাড্ডা একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই কমিটির নেতৃত্বে ২০২৩-এ পঞ্চায়েতে ভোট লড়বে রাজ্য বিজেপি। চমৎকার বিষয় এই যে কমিটিতে আদি ও বর্তমানকে সঙ্গে রেখেই ভোট প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর পরেই জায়গা পেয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দায়িত্ব বাড়ছে হুগলির সাংসদের। পাশাপাশি আনা হয়েছে রাহুল সিন্হাকেও। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বহুদিন ধরে গেরুয়া রাজনীতির মূল স্রোতের বাইরে। অবশ্য এই প্রতিবেদককে রাহুল জানান, পুজোর অষ্টমীর দিন থেকে প্রায়ই তিনি মুরলীধর সেন লেনে যান। বিকেল ৪ টের পর রাজ্য অফিসে আসতে আমন্ত্রণও জানান তিনি। রাহুল ছাড়াও বিভিন্ন সাংসদ-বিধায়করা আছেন কমিটিতে।
তবে চমকপ্রদ খবর, কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। হঠাৎ মিঠুন কেন, উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রচারে এমন একটা মুখ দরকার যাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা আছে। বিজেপি জানে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত ভোট কার্যত সেমিফাইনাল। এই ভোট প্রমাণ করবে ২০১৯-এর মতো বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার জায়গায় আছে কিনা? এবার প্রশ্ন হচ্ছে মিঠুন ৮০-র দশকের জনপ্রিয় নায়ক, এখন তাঁর বয়স ৭২। অনেকদিন সিনেমা থেকেও বেশ কিছুটা দূরে।
তাও কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেন দেশের একদা সর্বোচ্চ আয়করদাতা মিঠুন এখনও 'মহাগুরু'। গ্রামের ভোট কাজেই মঞ্চে মঞ্চে তাঁর ফিল্মি ডায়লগ মানুষ উপভোগ করবে। এ ছাড়া বাংলায় বিকল্প কিছু নেই বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।
অন্যদিকে ৮ বছর ধরে বিজেপি করা এবং এক সময়ের সাংসদ রূপাকে কমিটিতে রাখা হয়েনি। অন্দরের খবর কয়েক মাস ধরে রূপা নাকি মিডিয়া এবং বিভিন্ন পোর্টালে এমন সব সাক্ষৎকার দিয়েছেন যা দলের পক্ষে শুভ নয়। নিজের বিশ্বাস অনেকটাই হারিয়েছেন রূপা বলেই গুঞ্জন।
মজার বিষয় মিঠুন এবং রূপা বহুদিন আগে 'বুধ্ধুরাম ঢোল দুনিয়া গোল' নামে একটি ছবি করেছিলেন। সেই ছবির হদিস কেউ রাখে না কিন্তু আজ বাস্তবে সেই ঘটনায় ঘটলো।