বিজেপি (BJP) করার অপরাধে গ্রামে একঘরে পরিবার। এলাকায় থাকা বারোয়ারি মন্দিরেও দেওয়া হয় না উঠতে। একাধিকবার দেওয়া হয়েছে হুমকি। তবে সাহস হয়নি শাসকদলের বিরুদ্ধে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দেগঙ্গার (deganga) সোহাই শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুর গ্রামে। কিন্তু গতকাল রাতের ঘটনার পর বাধ্য হয়েই থানার দ্বারস্থ পরিবার। কিন্তু এমন কী হয়েছিল গতকাল রাতে?
পরিবার সূত্রে অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর থেকেই শাসকদলের কর্মী ও নেতারা বারবার তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছে। এমনকি বিজেপি করার অপরাধে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের পরিবারগুলিকে বয়কট করা হয়েছে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে। পাড়ার মন্দির, ক্লাবে, দোকানে উঠতে নিষেধ তাঁদের। প্রতিবাদ করলেই বিজেপি কর্মীর বাড়ি চড়াও হয়ে এলোপাথাড়ি মারধর ও খুনের (murder) চেষ্টা করা হয়। গতকাল রাতেও একই ঘটনা। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। বাধা দিতে এসে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ, বৃদ্ধা মাকেও পর্যন্ত মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত (injured) হয়েছে ৪ জন বিজেপি কর্মী।
ঘটনায় চাপা উত্তেজনা এলাকায়। তবে এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীসমর্থক ও নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি করে না। ওটা পারিবারিক বিবাদ।
এই বিষয়ে রবিবার দেগঙ্গা থানায় অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ ও তাঁর পরিবার। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিস।