এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন শনিবার। এবার এই ঘটনায় নাম জড়াল ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারীর।
সূত্রের খবর, গত রবিবার রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশির সময় যেসব নথি পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে অনন্তদেব অধিকারী অর্থাত্ বিধায়কের লেটারহেড প্যাডে লেখা দুটি নথি মিলেছে। তারমধ্যে একটিতে এসএসসির "গ্রুপ ডি" পদে পাঁচজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। অন্যটিতে, আপার প্রাইমারিতে চাকরিপ্রার্থী ৪৮ জনের রোল নম্বর মিলেছে। এই ঘটনার পরই ফের উত্তাপ বাড়ছে ময়নাগুড়িতে। তবে প্রাক্তন বিধায়ক প্রথমটি স্বীকার করে নিলেও, দ্বিতীয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক থাকাকালীন তাঁর কাছে গ্রুপ ডি পদের জন্য পাঁচজনের নাম চাওয়া হয়েছিল। সেইমত তিনি পাঁচজনের নাম পাঠিয়েছিলেন। যদিও সেই পাঁচজনের চাকরি হয়নি। তাঁর দাবি, সব বিধায়কদের কাছেই এরকম নাম চাওয়া হয়েছিল। এটা কোনও অন্যায় নয়। একজন বিধায়ক দলীয় কর্মীদের নাম উপরমহলে সুপারিশ করতেই পারেন। এতে কোনও বিতর্ক নেই। অন্যদিকে, ৪৮ জন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীর রোল নং লেখা লেটারহেডের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠতে শুরু করেছে। যদিও তিনি এখনও ইডি বা সিবিআইরের ডাক পাননি বলে দাবি অনন্তদেব অধিকারীর। এসসি দুর্নীতি নিয়ে এর আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ্চন্দ্র অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। চাকরি গিয়েছে তাঁর কন্যার। তাঁর বাড়িতেও ইডির তল্লাশি হয়েছে। এরপর জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের প্রাথমিক শিক্ষক তথা রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদস্য পঞ্চানন রায়কে জেরা করেছিল সিবিআই। এবার নাম জড়াল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর।