Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত, কলকাতা:
২০০৪ এর পৌরসভা নির্বাচন ছিল ভয়ঙ্কর, সকাল ১১ টার মধ্যে সিপিএমের গুন্ডারা অমিতাভ নন্দীর নেতৃত্বে দমদমে এলাকার পর এলাকা দখল করে বুথ দখল করে ভোট করেছিল বলে সিএন পোর্টালকে জানালেন মন্ত্রী তথা বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক সুজিত বসু। সুজিত বললেন, সেদিন আমাকে এবং আমাদের তৃণমূল কর্মীদের রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দমদমের ভোটে কোনও অশান্তি নেই, জানালেন সুজিত। তিনি বললেন, আর কোনওভাবে ২০০৪ ফিরিয়ে আসতে দেবো না। দক্ষিণ দমদমের বিভিন্ন বুথে গিয়ে দেখা গেল, ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। পোলিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসাররা জানালেন, রবিবারের সকাল, বাজারহাট করে রান্নাবান্না করে নিশ্চই আসবে। পাশাপাশি নিউটাউনের বিধায়ক অদিতি মুন্সী এবং তাঁর স্বামী যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তী এলাকায় শান্তি রাখতে বদ্ধপরিকর বলে দাবি করলেন। দেবরাজ জানালেন, দাদা, ঘুরে দেখো, কোথাও কোনও ঝঞ্ঝাট হচ্ছে কি না। অবশ্য তখন সকাল ৮টা, তখনও ভোটারদের দেখা নেই।
এরপরই যোগাযোগ করা হল প্রিসাইডিং বা পোলিং অফিসারদের সঙ্গে। বাম জমানায় বাম সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরাই এই ভোটযুদ্ধে ভোটকর্মী থাকতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর নিশ্চই ওই কর্মীরা অবসর নেননি। কার্যত তাঁরাই ভোটকর্মী আজও। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে কিছু ক্ষেত্রে। ভোটকর্মীরা জানালেন, গ্রামের ভোট হলে কিছুটা অসুবিধা হয় নিশ্চয়। কিন্তু শহরের ভোট বা পৌরসভা ভোটে থাকাখাওয়া বা জলের সমস্যা কম। তবে এঁদেরই একজন জানালেন, আমাদের নিয়ে কিছু লিখুন। সরকারি কর্মচারীরা কাজ করে না বলে আমাদের তো খুব বদনাম। বাস্তবিকই তাই। ভোটের আগের দিন নিজ খরচে নির্বাচন দফতরে যেতে হয়, সেখান থেকে কাগজপত্র নিয়ে ও বুঝে ভোটকেন্দ্র খুঁজতেই বেলা কাবার। এরপর রাতে কোথাও খেয়ে পরদিনের কাজ এগিয়ে নিয়ে শুতে শুতে রাত ২ টো। এরপর দু ঘণ্টা জিরিয়ে আবার বুথ সাজানো। এরপর তো দিনভর নানান 'কাণ্ডের' সাক্ষী থাকতে হয়। ভোট শেষে কাগজপত্র, ব্যালট বাক্স জমা দিয়ে তার আর কোনও দায় নেয় না সরকার। রাতদুপুরে বাড়ি ফিরতে হয় নিজের দায়িত্বে।