Share this link via
Or copy link
বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে পড়েছে। এই অভিযোগ তুলেই বিজপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট পাঠালো অনুসন্ধান কমিটি। পাঁচ সদস্যের এই অনুষ্ঠান কমিটি সম্প্রতি কলকাতা এসেছিল। নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কথা বলার পাশাপাশি দেখতে যান দলের কাউন্সিলর মীনদেবী পুরোহিতকে। এরপরেই দিল্লি ফিরে তাঁরা কড়া রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়েছেন জেপি নাড্ডাকে। সেই রিপোর্টে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় গুলি মারা প্রসঙ্গের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্যের তিন আইপিএস দময়ন্তী সেন, সিদ্ধিনাথ গুপ্ত এবং প্রবীন ত্রিপাঠিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির অভিযোগ, 'এই তিন আইপিএস দায়িত্ব উপেক্ষা করে শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে। উচ্চপদস্থ পুলিসকর্তারা শাসকের অঙ্গুলিহেলনে বিজেপি কর্মকর্তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। বিরোধী দলের কোমর ভাঙার জন্য সন্ত্রাস এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড উল্লেখ করে রিপোর্টে লেখা, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন অভিযানে পুলিসি বর্বরতাকে সমর্থন করে বলেছেন তিনি ঘটনাস্থলে থাকলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মাথায় গুলি করতেন। এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার বাংলার শাসক দলের ফ্যাসিস্ট মনোভাব। শাসক দলের নেতারাই বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিসি নির্যাতনের অনুমোদন দিয়েছিল।'
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের পর যে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি কলকাতায় এসেছিল, সেই কমিটির সদস্য-- ব্রিজলাল (অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস, সাংসদ), কর্নেল রাজ্য বর্ধন সিং রাঠৌর (সাংসদ, লোকসভা), অপরাজিতা সারেঙ্গি (সাংসদ, লোকসভা), সুনীল জাখর, সমীর ওঁরাও (সাংসদ)।