Share this link via
Or copy link
সিএন (Calcutta News) আমাদের বিরুদ্ধে যতই লিখুক, বলুক কিছু হবে না। আমরাই আবার জিতব। পুরসভা জিতব, পঞ্চায়েত জিতব। লোকসভা, বিধানসভায় জিতব। তোমরা দেখে নিও। শুক্রবার বিরাটির এক অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায় (MP Sougata Ray)। রাজ্যব্যাপী একাধিক দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই-ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর এই তৎপরতা যুবসমাজকে কতটা প্রভাবিত করবে? সিএন বা ক্যালকাটা নিউজের তরফে করা এই প্রশ্নে তৃণমূল সাংসদের সাফ জবাব, 'কোনও প্রভাব পড়বে না। যতই বিরুদ্ধ প্রচার হোক। যুবসমাজকে প্রভাবিত করবে না। আমরাই আগামি দিনে ভোটে জিতব।'
সিএন-র সাংবাদিককে ঠিক কী বলেছেন এই প্রবীণ সাংসদ
সৌগত রায়ের এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিরোধী দলগুলো। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দেশ এবং রাজ্যে শাসকের পক্ষে যা চলছে, তার মুখোমুখি দাঁড়ানোই সংবাদ মাধ্যমের কাজ। কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসক চায় সবাই তাদের দাস হয়ে থাকুক। এটা কখনও হয় না। অধ্যাপক সৌগত রায়ের বয়স যত বাড়ছে, এই তালগোল পাকানো কথা আরও বাড়ছে। এটা কেন বুঝতে পারছি না। উনি বলছেন সিএন যত অপপ্রচার করুক, সব ভোটেই জিতব। উনি বরং বলুক সব ভোটেই জিতব এবং লুঠ করব।'
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ জানান, মিডিয়া যখন ওদের হয়ে কথা বলে তখন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির। আর চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিলে মিডিয়া চোখের বালি। গত ১২ বছরে একটা ভালো কাজ দেখাক তৃণমূল করেছে, যার উপর ভিত্তি করে ওরা ভোটে জিতবে। আর পুলিস-প্রশাসনকে ব্যবহার করে লেঠেল নামিয়ে জিতলে আলাদা কথা।'
কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচের মন্তব্য, 'সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, তাকে আপনার পছন্দ হতেও পারে নাও হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্য সমীচিন নয়। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এখন সৌগত রায় দলে প্রাসঙ্গিক হতে চেষ্টা করছে। উনি শিক্ষিত হয়েও অন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর এতে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়বে।'