২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Congress: দেশব্যাপী কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন বাছতে ভোট, গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন ৯৮০০ জন
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-10-17 12:08:32   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: বলা হয় কংগ্রেস দল কিন্তু এই কংগ্রেস বারবার বদলেছে। মহাত্মা গান্ধী বা নেহেরুর আমলে ভোট হয়েছে বহুবার স্বাধীনতার আগে, স্বাধীন ভারতেও হয়েছে। স্বাধীনতার পরে জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভোট চিহ্ন ছিল জোড়া বলদ। নেহেরু এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পরে দলের আদি সদস্য বা সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াই করে ইন্দিরা গান্ধী 'নব কংগ্রেস' তৈরি করেন এবং সভাপতি হন অসমের দেবকান্ত বড়ুয়া। তখন ভোট প্রতীক গাই-বাছুর। এরপর ১৯৭৭-এ কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতা হারায়, অনেকেই সেসময়ে ইন্দিরার পাশ থেকে সরে যান। ইন্দিরা ১৯৮০-র নির্বাচনের আগে ফের কংগ্রেস ভেঙে তৈরি করেন কংগ্রেস (আই) বা ইন্দিরা কংগ্রেস।

অদ্যবধি এটাই জাতীয় কংগ্রেস, যাদের ভোট প্রতীক হাত। এই হাত চিহ্নের প্রথম দলীয় সভাপতি নির্বাচন সোমবার হচ্ছে এবং তৃতীয়বার ইন্দিরা কংগ্রেসে নির্বাচিত হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ। গান্ধী পরিবারের বাইরে প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি হন নরসিমা রাও, একইসাথে প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯৬-এ কংগ্রেস ফের কেন্দ্রে ক্ষমতা হারাবার পর অপসারিত হন রাও এবং রাজনীতির অন্তরালে থাকা সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ বিহারের সীতারাম কেশরিকে সভাপতি করা হয়। ১৯৯৬-২০০৪ টানা প্রায় ৮ বছর কেন্দ্রে কংগ্রেস ছিল ক্ষমতার অলিন্দের বাইরে। ১৯৯৭ এ কলকাতায় এআইসিসির বৈঠকে মোটামুটি ধার্য হয় সোনিয়া গান্ধীই সভাপতির দায়িত্বে আসছেন।


বাজপেয়ীর জমানার পর ১০ বছর কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকে। এরপর কখনও সোনিয়া, কখনও পুত্র রাহুল সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। বিকল্প ছিল না থাকলেও গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠরা মানেনি। হঠাৎ রাহুল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। এবং অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হয়ে ফেরেন সোনিয়া। ইতিমধ্যে বারবার দল ভেঙেছে তারই সঙ্গে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে হয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। যার সাম্প্রতিক নাম বিক্ষুব্ধ-২৩ বা জি-২৩। এবার রাহুল জানান যে আর গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি হবে না। বাইরের কেউ হবেন এবং ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে। এই প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে শতাব্দীপ্রাচীন দলে কোনও ভোট হচ্ছে।

প্রার্থী গান্ধী পরিবারের পরম ঘনিষ্ঠ মালিকার্জুন খাড়গে এবং বিরুদ্ধে লোকসভার সুশিক্ষিত সুদর্শন শশী থারুর। মোট ভোটার ৯৮০০, যাঁরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট দেবেন ,যা থাকবে গোপন ব্যালটে। আগামী ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা কিন্তু যে দিকে এগোচ্ছে তাতে খাড়গের জয় সুনিশ্চিত। কারণ মাথায় যে সেই গান্ধী পরিবারের হাত, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।



Follow us on :