কেষ্টর (Anubrata Mondal) শরীর এমনিতেই খারাপ। তার মধ্যে বগটুই হল, ওকে একটা ধাক্কা দিল। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে আটকাতে পারেন? ভাবছেন কেষ্টকে ধরে রেখে দু'টো লোকসভা আসন বেশি পাবেন, সে গুড়ে বালি! কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। ওকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন। এভাবেই বৃহস্পতিবার ফের জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indoor Meet) পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে বুথস্তরের কর্মিসভা ডাকা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই সরব ছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।
বিজেপির প্রতি সুর চড়া করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওরা ভাবছে তৃণমূলের কয়েকজন স্ট্রং লিডারকে জেলে ভরে রাখলে জেলার কর্মীরা, ব্লকের নেতারা ভয় পেয়ে যাবেন। আর সেই সুযোগে বিজেপি টুকটুক করে জল খেয়ে যাবে। মনে রাখবেন নিহত সিংহের চেয়ে আহত সিংহ বেশি ভয়ঙ্কর। আমাকে ধমকালে আমি চমকাই, চমকালে আমি গর্জাই। বাংলায় সব চোর আর তোমরা মন কা ব্যথায় দেখছ নতুন ভোর। এভাবে দেশ চলবে না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি যারা আগে সিপিএম করত, এখন তাঁরাই বিজেপি করে এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী খোঁচা, 'যারা সিপিএম-র হার্মাদ, তাঁরাই বিজেপির জহ্লাদ। একদিন শুনতেই হবে জগাই-মাধাই-গদাই কবে হবে বাই বাই?' কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেড়িয়ে পড়ছে। এই দাবি করে তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য, 'ইডি-সিবিআই সকালে ঘুম থেকে উঠেই আজ মলয়ের বাড়ি যাচ্ছে, কাল ববির বাড়ি যাবে, পরশু চন্দ্রিমার বাড়ি যাবে। অভিষেকের দু'বছরের বাচ্চাও সিবিআই অফিস ঘুরে এসেছে। মা বাচ্চাকে ছেড়ে যাবে কীভাবে?'
আগামি দিনে লড়াইয়ের পাল্টা লড়াই হবের স্লোগান তুলে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, 'একটা বর্ণপরিচয় জানে না, ওরা সবারটা কেটে দিচ্ছে। ওরা জানে না রাজনীতিতে কেটে দিলে কিছু হয় না, ছেঁটে দিতে হয়। লড়াইয়ের পাল্টা লড়াই হবে।' তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীরাই সম্পদ। এই দলে টিকিটের জন্য লবি করতে হয় না। যারা কাজ করবে তাঁকে দল টিকিটের জন্য খুঁজে নেবে।