বৃহস্পতিবার তৃণমূল যখন একুশ জুলাই পালনে ব্যস্ত, বিজেপি রাজ্য সভাপতি তখন ঘুসুরিতে। প্রধান বিরোধী দলের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এদিন বিষমদ-কাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন রাজ্য সরকারকে। এমনকি, এই বিষমদ-কাণ্ডকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে তোপ দাগেন সুকান্ত মজুমদার।
সেই কর্মসূচির ফাঁকেই একুশে জুলাই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এখন একুশে জুলাই মানে জেহাদ দিবস। আগে ছিল ডিম-ভাত এবং পাগ্লু দিবস।' তাঁর মন্তব্য, আজ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই,ইডি এবং ভয় শব্দটা বহুবার ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ বোঝাই গিয়েছে তিনি ভয়ে আছে। বলাই যায় জেনে গিয়েছে জনতা, ভয়ে আছে মমতা।'
এদিকে, একুশের মঞ্চ থেকে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মুড়িতে জিএসটি চাপানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর স্লোগান ছিল, ফিরিয়ে দাও আমাদের মুড়ি। বিজেপির লোকেরা মুড়ি খাবে না? সেই ব্যাপারে বিজেপি সভাপতি বলেন, 'শুধু মুড়িতে নয়, বরং প্যাকেটজাত মুড়িতে জিএসটি বসেছে। প্যাকেটজাত ম্যাগি-সহ অন্য পণ্য এই জিএসটির আওতায়। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন এই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত প্যাকেটজাত পণ্যের যারা ব্যবসা করেন, তাঁরা করফাঁকি দেওয়াতেই কেন্দ্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র-রাজ্যের কর্মসংস্থানের তুলনা টেনে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। রাজ্যের ব্যাপক শিল্প এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার জোরালো দাবি শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। রাজ্যে নাকি ৫০০টি শিল্পতালুক হয়েছে। কোন রাজ্যে এতগুলো শিল্পতালুক হয়েছে আমার জানা নেই। উনি ভুল তথ্য পরিবেশনা করেছেন।'
তৃণমূলের শহিদ দিবস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, চব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বিজেপি। এই দাবি প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি বলেন, 'উনি যখন একথা বলছিলেন, আমি টিভিতে দেখেছি তৃণমূল সমর্থকরা হাসছিল। গত কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল আর উনার দাবি শুনে এবার বাচ্চারাও হাসবে।'