Share this link via
Or copy link
শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার একাধিক জায়গায় ঘুরে দেখল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাঠানো অনুসন্ধানকারী দল (Fact Finding Committee)। মূলত বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে পুলিসি বর্বরতার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী। অভিযোগ, দলের একাধিক কর্মী-সমর্থক পুলিসের অতিসক্রিতায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। বঙ্গ বিজেপির এই অভিযোগের গুরুত্ব খতিয়ে দেখতেই এই অনুসন্ধানকারী দলের চার সদস্যের কলকাতা সফর। শনিবার তাঁরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (calcutta Medical College), মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়ি এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় যান। রবিবার তাঁরা বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। এমনটাই বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর।
মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বিজেপি কর্মী সৌমিক হালদার দেখে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অনুসন্ধান দলের সদস্য সাংসদ ব্রিজ লাল বলেন, 'বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী সৌমিক হালদার নবান্ন অভিযানের পর পুলিসি বর্বরতার শিকার। লাঠি দিয়ে মেরে উনার হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমিও একসময় আইপিএস ছিলাম কিন্তু এরকম পুলিসি গুণ্ডাগিরি দেখিনি। সৌমিক হালদারের অবস্থা এখনও গুরুতর। এখানে বীরভূমে মানুষ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ঘর থেকে নগদ উদ্ধার হয়, শিক্ষায় দুর্নীতি। আর যুবরা কাজের দাবিতে সরব হলে তাঁদের মারধর করা হয়।'
এদিন বিজেপির এই সাংসদ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব ছিলেন। তাঁর মন্তব্য, 'উপর থেকেই পুলিসি এই বর্বরতার নির্দেশ এসেছিল। নয়তো একজন সাংসদ মাথায় গুলি মারার কথা কীভাবে বলে। এখানে জঙ্গলরাজ, নৈরাজ্য চলছে ২০২৪-এ জবাব দিয়ে দেব।'
শনিবার দুপুরে বিজেপির হেস্টিংস দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। এই দলের অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর জানান, বামপন্থীদের অত্যাচার আর কংরেসের দুর্নীতি, এই দুই মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূল সরকার চালাচ্ছে। দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাংলায় অত্যাচার হচ্ছে। এই দেশে আইনব্যবস্থা রয়েছে আর মানুষই সবার সরকার। সেই মানুষ বাংলার এই নিষ্কর্মা সরকারকে বুঝিয়ে দেবে আসল রাজা কে।
তাঁর মন্তব্য, 'বাংলার পুলিসের মধ্যে তৃণমূল ঢুকে গিয়েছে। কে তৃণমূল, কে পুলিস বোঝা দায়। রাজ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। শাসক দলের কেউ বিরোধিতা করলে তাঁকে ডাণ্ডা খেতে হবে।'