জেপি নাড্ডাকে একপ্রকার বলা যেতে পারে বাংলার জামাই। যদিও তাঁর শ্বশুরবাড়ি ঠিক বাংলায় নয়। তাঁর শাশুড়ি জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় সাংসদ ছিলেন বিজেপির। ওখান থেকেই পরিচয় কন্যা মল্লিকার সঙ্গে। আপাতত দুই সন্তান এই দম্পতির। জগৎপ্রকাশ নাড্ডা হিমাচল প্রদেশের মানুষ হলেও তাঁর বাবার কাজের জায়গা ছিল পাটনা। সেখানে সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্র ছিলেন তিনি। পরে হিমাচলে এসে আইন ডিগ্রি নিয়ে এলএলবি পাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। এক সময়ে সংঘের কাজ করেছেন চুটিয়ে। পরবর্তীতে বিজেপি দলের কাজে চলে আসেন।
প্রথমে হিমাচল পরে বিলাসপুর থেকে ভোটে লড়াই করেন। ২০১৪ তে নরেন্দ্র মোদী জিতে আসলে তিনিও রাজ্যসভার সদস্য হন এবং কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। আরএসএস ঘনিষ্ঠ নাড্ডার উচ্চপদে যেতে খুব একটা দেরি হয়নি। ২০২০ তে তৎকালীন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বে পেলে তিনি দলের সভাপতি হন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এখনও সাংগঠনিক কাজে অমিত শাহের উপর অনেকটা ভরসা করেন। কাজেই নাড্ডা সভাপতি হলেও দলের সাংগঠনিক কাজ পরোক্ষভাবে অমিতই দেখেন। সম্প্রতি দুই রাজ্যের ভোট হয়েছে। অমিত শাহের উপর দায়িত্ব ছিল গুজরাতের। সেখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি এবং অনেক আসন বাড়িয়েও নিয়েছে। পক্ষান্তরে নাড্ডার হাতে থাকা হিমাচল প্রদেশ হাতছাড়া হয় বিজেপির।
বছর ঘুরে নতুন বছরে সর্বভারতীয় বিজেপির দিল্লিতে বৈঠকে বসে। বিজেপি সভাপতির মেয়াদ সাধারণত তিন বছরের। নাড্ডাকেই ফের সভাপতি করা হয়, কিন্তু আগামি লোকসভা ভোট অবধি তাঁর মেয়াদ বাড়ে। চলতি বছরে নয় রাজ্যের বিধানসভা ভোট এবং আগামি সাধারণ নির্বাচন নাড্ডার কাছে অ্যাসিড টেস্ট।
দ্বিতীয় পর্বে বিজেপি সভাপতি হয়েই প্রথম প্রচারে তিনি এলেন বাংলায়। বুধবার রাতে কলকাতায় এসে নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকালে যান মায়াপুর এবং সেখান থেকে নদিয়ার আরও এক জনপ্রিয় স্থান বেথুয়াডহরি। পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে জনসভাও করেন তিনি। এভাবেই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন নাড্ডা তাঁর শ্বশুড়বাড়ির রাজ্য থেকেই।