অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কি অসম্পূর্ণ চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে? এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM) কাছে জানতে চাইলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তথ্য জানার অধিকার আইন বা আরটিআইয়ের (RTI) মাধ্যমে এই তথ্য জানতে চেয়েছেন অনুপমবাবু (Anupam Hazra)। এই পদক্ষেপের প্রসঙ্গ ট্যুইটারেও জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।
কোন কোন চিকিৎসক অনুব্রত মণ্ডল, মদন মিত্র-সহ তৃণমূল নেতাদের চিকিৎসা অসম্পূর্ণ করে ছেড়ে দিচ্ছেন? আদতে তাঁদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে কি? কেননা সিবিআই অথবা ইডি তলব করলেই অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একইভাবে মদন মিত্র-সহ অন্য তৃণমূল নেতাদের বারবার অসম্পূর্ণ চিকিৎসা করে ছেড়ে দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে না তো? এমনটাই আরটিআইয়ের মাধ্যমে জানতে চান অনুপম হাজরা।
এদিকে, ফের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই (CBI) দফতরে গেলেন না অনুব্রত মণ্ডল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মঙ্গলবার দুপুর একটায় সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু সূত্রের খবর, তাঁর পরিবর্তে তাঁর আইনজীবী গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার গরু পাচার মামলায় হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এবারেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আপাতত সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দেবেন না তিনি। আইনজীবী মারফত পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। চিকিৎসকেরা ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। সূত্রের খবর, চিঠিতে সিবিআই তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জানিয়েছেন, সুস্থ হলেই তিনি হাজির হবেন তদন্তকারীদের সামনে। বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শে আপাতত বোলপুরেই থাকবেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে অনুব্রত সবরকম সহযোগিতা করবেন, তা তিনি আগেই নিশ্চিত করেছিলেন। এই মুহুর্তে তিনি দলীয় কোনও মিটিং-মিছিলে যোগ দিচ্ছেন না। এমনকী পার্টি অফিসেও যাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, এমনকী গরু পাচার মামলাতেও আপাতত সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দেবেন না তিনি।